নকীবউদ্দিন গাজী,রায়দিঘী,আপনজন: দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধান ও উপ প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যদের। এরই জেরে ভেঙে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘীর নন্দকুমারপুর পঞ্চায়েতের বোর্ড। জানা যায়, নন্দকুমারপুর পঞ্চায়েতে মোট ২০ জন সদস্য যার মধ্যে ১৫ জন সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসের। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে নন্দকুমারপুর পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধান ছিলেন জোৎস্না পাত্র ও কানাই গিরি। শুক্রবার পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দলেরই ১১ জন সদস্য অনাস্থা আনেন। তবে ঘটনায় পঞ্চায়েত প্রধান জোৎস্না পাত্র অবিযোগ করেন, এলাকার বিধায়ক কাটমানি টাকা চেয়েছিলেন। সেই টাকা না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করে অনাস্থা এনেছেন বিধায়ক অলোক জলদাতা।
তবে এই ঘটনায় বিধায়ক অলোক জলদাতা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষ পঞ্চায়েত প্রধান ও উপপ্রধানের ব্যবহারে ক্ষিপ্ত। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে বাকি সদস্যরা, পাশাপাশি সরকারি জমি দখল করে এবং দল বিরোধী কাজকর্ম করার জন্য জেলার সভাপতিকে জানানো হয়েছিল তারপরেই অন্যান্য সদস্যরা মিলে এই অনন্ত প্রস্তাব নিয়ে এসেছে বিধায়কের বিরুদ্ধে ওঠা যে অভিযোগ তার সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করলেন বিধায়ক । পাশাপাশি উপপ্রধান, কানাই গিরি বলেন দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস করার পর সেই দলের পক্ষ থেকে চক্রান্ত করে আমাকে দোষারোপ করে উপপ্রধান পদ থেকে সরিয়ে ব্যবস্থা করেছে । আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন আমি কেবল মাত্র প্রধান কে সাপোর্ট করার জন্য আমার উপরে এমন ব্যবস্থা নিয়েছে বিধায়ক আমি চাই সঠিক বিবেচনা করা হোক। দলের জন্য আগেও যেমন লড়াই করেছি বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে নিঃস্বার্থে আগামী দিনেও বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়াই আন্দোলন জারি থাকবে কারোর ব্যক্তিগত স্বার্থে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে দলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি যা ব্যবস্থা দল নেবে তা মাথা পেতে নেব। তবে, তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে প্রধান উপপ্রধান বিরুদ্ধে তৃণমূলের সদস্যরা অনাস্থা ঢাকা-সুন্দরবন জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক অনেকটা অস্বস্তিতে পড়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct