আব্দুস সামাদ মন্ডল,কলকাতা,আপনজন: এখনো গান্ধীবাদী আছি, আনিস খান সঠিক বিচার না পেলে নেতাজিবাদি হয়ে যাবো এবং সারা বাংলার মানবপ্রেমিক মানুষদেরকে নিয়ে কলকাতার রাজপথ অবরুদ্ধ করে দেবো এমনই হুংকার দিল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী।মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতার রাজপথে পাঁচ হাজারেরও বেশি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের কর্মী সমর্থকদের উদ্দীপ্ত মিছিল পথ হাঁটল। শিয়ালদা স্টেশন চত্বর থেকে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেল অবধি এই মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন আইএসএফের চেয়ারম্যান ও বিধায়ক মহম্মদ নওশাদ সিদ্দিকী সহ দলের রাজ্য নেতৃত্ব। মিছিলের স্লোগানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের প্রতি ঘৃণা ঝরে পড়ে। প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা স্লোগান তোলেন বিচারবিভাগীয় তদন্তের। মিছিল শেষে ধর্মতলায় এক সংক্ষিপ্ত সভায় নওসাদ সিদ্দিকী রাজ্যসরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আনিস খানের হত্যাকারীদের যতক্ষণ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা হচ্ছে, ততক্ষণ আমাদের এই দৃপ্ত প্রতিবাদ চলবে। আনিস ছিলেন গণ আন্দোলনের অন্যতম মুখ ছাত্র আন্দোলনের প্রতিবাদী মুখ, যেখানেই অন্যায়, সেখানেই আনিস প্রতিবাদে সোচ্চার। এইরকম মানুষকে খুন করে শাসকদল পার পাবে না।
আনিসের পরিবার সিবিআই তদন্ত চাইছে, আমরা তাঁদের পাশে আছি, কিন্তু আমরা ইনসাফের জন্য বিচারবিভাগীয় তদন্তের পক্ষপাতী, আনিসের জন্য যাঁরা পথে নেমেছেন, তাদের সঙ্গে একযোগে আমরা লড়বো, ইনসাফের জন্য প্রয়োজনে গোটা রাজ্য অবরুদ্ধ করে দেওয়া হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।তিনি আরো বলেন, আনিসের মৃত্যুর পর তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা তাঁর নামে নোংরা কুৎসা রটিয়েছে। এটা সহ্য করবোনা সেই নেতাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে, এছাড়া বক্তব্য রাখেন লক্ষীকান্ত হাঁসদা, ফয়সাল খান, সীমা ভট্টাচার্য, গাজী শাহাবুদ্দিন সিরাজী, কুতুবুদ্দীন ফাতেহী, আলি কারিমুল্লাহ, হাবিব সেখ, আলি কালিমুল্লাহ, ছাত্র ফ্রন্টের পক্ষে রাকেশ বেরা প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন আইএসএফের কার্যকরী সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক। তিনি বলেন, আনিস খান আইএসএফের সক্রিয় সংগঠক ছিলেন, এটা অনেকেই এড়িয়ে যেতে চাইছেন, কিন্তু আগামীদিনে এই ইস্যু সহ রাজ্যসরকারের সমস্তধরনের দানবীয় নীতি ও কার্যকলাপের বিরুদ্ধে একজোট হয়েই রাস্তায় নামতে হবে, সমগ্র সভাটিকে পরিচালনা করেন নাসিরুদ্দিন মীর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct