দেবাশীষ পাল,মালদা,আপনজন: সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করতে মালদা জেলায় সকাল থেকে দুটি পৌর এলাকায় বিশাল পুলিশের টহলদারি ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনী পর্যবেক্ষক এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদা পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় টহলদারি করে জেলা পুলিশ। এই নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলেও সশস্ত্র পুলিশ দ্বারা অনুষ্ঠিত হয় পৌর নির্বাচন। সুষ্ঠুভাবে ভোট প্রক্রিয়া পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন এলাকায় টহল দিতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ২৭ ফেব্রুয়ারি অন্যান্য পৌরসভার পাশাপাশি মালদা জেলার দুটি পৌরসভার সমস্ত ওয়ার্ডে সকাল থেকে শুরু হয় নির্বাচন প্রক্রিয়া। কোভিড বিধি মেনে এদিন ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয় ।
সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন তার জন্য নির্বাচন পর্যবেক্ষক এর নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকায় টহলদারি দিতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে।ভোট গ্রহন শুরু কিছুক্ষ সময় পার হতেই।ইংরেজ বাজার পৌরসভার ১২ নম্ববর ওয়ার্ডে বিজেপি এবং তৃণমূল প্রার্থীর অভিযোগ ঘিরে চরম উত্তেজনা ১৬৯ নম্বর বুথে।যদিও পরে ইংরেজবাজার থানার বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তৃণমূলের অভিযোগ বহিরাগতদের নিয়েছে বুথ জ্যাম করার চেষ্টা করছে বিজেপি। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ এজেন্টের বুথে ঢুকতে দিতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল। দুই প্রার্থীর এই অভিযোগকে ঘিরে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সকাল থেকেই।বেলা গরাতেই ১১ নম্বর ওয়ার্ডের আক্রমনি করোনেশন ইনস্টিটিউশন বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র এলাকায় তুমুল উত্তেজনা শুরু হয় । এক ব্যক্তির মাথা ফেটে রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিজেপির অভিযোগ ভোটারদের প্রভাবিত করছে । রক্তাক্ত অবস্থায় ব্যক্তিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।আহত বিজেপি কর্মীর নাম অনুপ চৌধুরী বলে জানা যায়। অন্যদিকে ইংরেজ বাজার পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির এর প্রশাসনের উপর আস্থা হারিয়ে বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় শর্মা নিজেই এগিয়ে গেলেন। ভুয়া ভোটার ধরতে গিয়ে জড়িয়ে পড়লেন বিতর্কে। পুলিশের সামনেই তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়।যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি চৌধুরী।পরে পুলিশ সামালদেয়। এদিকে দুপুর নাগাদ ইংরেজবাজার পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণ কালিতলা এলাকায় ছাপ্পা ভোট দিতে এসে বামফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী কবিতা বিশ্বাসের হাতে ধরা পড়ল এক বহিরাগত যুবক। এদিকে এই ছাপ্পা ভোটকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ছাপ্পা ভোট দিতে আসা ওই যুবক কোন পার্টির হয়ে এসেছিল তা জানা যায়নি। ওই যুবক সেখান থেকে পালিয়ে যায়। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই মালদার দুই পৌরসভার ভোট সম্পন্ন হয় বলে জানা গিয়েছে ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct