আপনজন ডেস্ক: করোনা সংক্রমণরোধে পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে শিশুদের প্রবেশে বিধি-নিষেধ ছিল। করোনাকালের দীর্ঘ ৩০ মাস পর সাত বছর বা এর বেশি বয়সী শিশুদের পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববিতে প্রবেশে অনুমোদন দিয়েছে সৌদি আরব। জানা যায়, ‘তাওয়াক্কলনা’ অ্যাপের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে টিকার উভয় ডোজ নেওয়া শিশুরা প্রবেশ করতে পারবে বলে জানিয়েছে সৌদির হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। শুক্রবার এ নির্দেশনা জানানো হয়। নির্দেশনায় বলা হয়, সৌদি আরবে বসবাসরত উমরাহ পালনে আগ্রহী যে কেউ ‘ইতামারনা’ বা ‘তাওয়াক্কালনা’ অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করে এ অনুমোদন পাবে। এক্ষেত্রে শর্ত হলো, নির্ধারিত অ্যাপে আবেদনকারীর অবস্থা ‘ইমিউন’ বা অনাক্রম্য দেখাতে হবে এবং তার স্বাস্থ্য বিষয়ক আপডেট তথ্য থাকতে হবে। ওমরাহ, নামাজ ও জিয়ারতের পরিসংখ্যান বিষয়ক এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, গত সাত মাসে পবিত্র মসজিদুল হারামে ২৯.৪ মিলিয়ন মুসল্লিকে প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সময়ে পবিত্র মসজিদে নববিতে ৩.৭ মিলিয়ন মুসল্লিকে প্রবেশের অনুমোদন দেওয়া হয়।
গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে পবিত্র কাবা প্রাঙ্গণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পথনির্দেশক স্টিকার লাগানো হয়। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা, মাস্ক পরা, হাত ধৌত করা, জায়নামাজ নেওয়াসহ সব ধরনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ অনুসরণ বাধ্যতামূলক করা হয়। পবিত্র মসজিদুল হারামে আগত মুসল্লি ও ওমরাযাত্রীদের জন্য বেঁধে দেওয়া হয় নানা নিয়ম। এ ছাড়া জীবাণুমুক্ত রাখতে প্রতিদিন ১০ বার ধোয়া হয় মসজিদ প্রাঙ্গণ। গত বছরের ১৭ অক্টোবর সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরাসহ করোনা বিষয়ক বিধি-নিষেধ শিথিল করে সৌদি আরব। ওই সময় মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদে আগের মতো মুসল্লিদের দিয়ে পুরোপুরি ধারণের অনুমোদন দেয় সৌদি সরকার। এর আগে ২০২০ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের পর সতর্কতামূলক কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করে সৌদি আরব। তখন ওমরাহ পালনে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর জরুরি অবস্থা জারি করে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার পাশাপাশি সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে সীমিত পরিসরে ওমরাহ ও হজ কার্যক্রমের ব্যবস্থা করা হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct