বিশেষ প্রতিবেদক,কালিয়াচক,আপনজন: এক শিশুকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করলেন ২ সিভিক ভলেন্টিয়ার। নিজেদের কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন মানবিক কাজও তাঁরা করে থাকেন। তারই নজির ওই শিশুর উদ্ধারের ঘটনা। বিপদের হাত থেকে রক্ষা করে পরিবারের লোকেরদের খোঁজ খবর নিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দিলেন ২ সিভিক ভলেন্টিয়ার। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর দুর্ঘটনা যেখানে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। দুষ্কৃতীদের হাতেও পড়ে যেতে পারত ৮ বছরের ওই বালিকা। দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার দিলওয়ার হোসেন ওরফে শেখর ও এনামুল শেখ শিশুটিকে উদ্ধার করেন। নাম পরিচয় জানার পরে সংশ্লিষ্ট কালিয়াচক থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন তাঁরা। কালিয়াচক থানার পুলিশ পরিবারের খোঁজ চালিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দেন। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে কালিয়াচক চৌরঙ্গিতে ট্রাফিকের কাজে ব্যস্ত ছিলেন ওই দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার। ওই সময় ওই শিশুটিকে কাঁদতে দেখেন তাঁরা। কোনও কথাই সে বলে না। শুধু কেঁদেই চলে।
শিশুটিকে কেক ও বিস্কুট খাইয়ে শান্ত করার পর জানা যায় ওই শিশুটির নাম সঞ্চিতা মণ্ডল। তার বাবার নাম শ্যামল মণ্ডল। বাড়ি কালিয়াচকের ১৭ মাইলে। বাড়ি থেকে রাগ করে চলে আসে কালিয়াচকে। কিছদিন আগ নূরেফা খাতুন নামে একটি মেয়েকে চৌরঙ্গি এলাকায় উদ্ধার করে বাড়িতে পৌছে দেয় পুলিশ। তার বাড়ি মহবতপুরে। সিভিক ভলেন্টিয়ার দিলওয়ার হোসেন, এনামুল শেখ জানান, ‘শিশুটিকে একা কাদতে দেখে উদ্ধার করাই আমাদের প্রথম কাজ ছিল। চৌরঙ্গির মতো ব্যস্ততম এলাকায় যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। তারপর এই জনবহুল এলাকায় দুষ্কৃতীদের খপ্পরেও পড়তে পারত। আমরা সঠিক সময়ে ওই শিশুটিকে দেখতে পেয়েছি। সেই মতো উদ্ধার করা হয়েছে।’ সফিকুল নামে একজনকে উদ্ধার ট্রাফিক পুলিশ মঙ্গলবাড়ি গ্রামে পৌঁছে দেয়। মালদা জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শান্তিনাথ পাজা বলেন, ‘ট্রাফিকের পাশাপাশি পুলিশ অনেক মানবিক কাজও করে থাকেন। সঠিক সময়ে ওই শিশুটিকে উদ্ধার না করা হলে বিপদে পড়তে বেশি সময় লাগত না। ইতিমধ্যে কর্মরত ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলেন্টিয়ার থেকে পুলিশকর্মী বেশ কিছু কাজ করে নজির তৈরি করছে।।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct