সজিবুল ইসলাম,ডোমকল,আপনজন: করোনা মহামারীতে কুম্ভকার(কুমোর) শিল্পীরা কাজ হারিয়ে দিশে হারা হয়ে পড়েছিল দীর্ঘ দুই বছর। আসতে আসতে দেশে করোনা বিধিনিষেধ স্বাভাবিক হতেই চেনা ছন্দে ফিরছে কুমোর পাড়া। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু কুমোরদের কর্মজীবনের কোন পরিবর্তন হয়নি । মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী ব্লকের চোয়াপাড়া অঞ্চলের সাহেব রামপুর পাল পাড়ার প্রায় পঞ্চাশ পরিবার কুমোর শিল্পীর সঙ্গে জড়িত,রাস্তার দুই ধারে সকাল সকাল ছেলে থেকে মেয়ে সকলে বিভিন্ন জিনিস তৈরি করতে শুরু করেন,কেও তৈরি করছে ,কেও রং করছেন আবার কেও ভাটা সাজাচ্ছেন এমনি চিত্র দেখা গেলো পাল পাড়ার।
পরিতোষ পাল কুমুর শিল্পী জানান যে কোনো রকমে আমাদের সংসার চলে যায়,পূর্বপুরুষের কাজ তাই আকড়ে ধরে আছি, অন্য কোনো কাজ আমদের জানা নেই।তাই নিজে তৈরী করে বাজারে কোনো সময় বিক্রি করি আবার পাইকারি দিয়ে থাকি। মাধবী পাল গৃহবধূ কুমোর শিল্পী জানান যে বাবার বাড়িতেও কাজ করতাম স্বামীর সংসারে এসেও কাজ করছি।ছোটো বেলা থেকে দেখে দেখে কাজ শিখি তার পর থেকে চলছে।তবে অনেক কষ্টের কাজ ।কিছু করার নেই সংসার চালতে কাজ করতে হচ্ছে। কুমোর শিল্পী দের আবেদন যে সরকারি সাহায্য করলে অনেকটা ভালো হয়,সরকারি ভাবে আমাদের তৈরি করা ,চায়ের কাপ,দইয়ের ভাড়, ধুপচি সহ মাটির আরো অনেক জিনিস পত্র গুলো কেনার ব্যবস্থা করে তাহলে অনেক লাভ হবে।তিনি আরো বলেন আগে এক টলি মাটি পাঁচশো টাকা নিত সেটা এখন এক হাজার থেকে ডের হাজার পর্যন্ত দিয়ে কিনতে হচ্ছে।আর যে কাঠের গুঁড়ো পঞ্চাশ টাকা ছিল তা এখন একশো টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে।আগের মত আর তেমন লাভের মুখ দেখা যায়না। চোয়াপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রাকিবুল ইসলাম রকি বলেন সত্যি করোনা মহামারীতে কিছুটা হলেও সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল তাদের,তবে এখন অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে তাদের ব্যবসা,আগে তাদের কারো মাথার ওপর কোনো ছাদ ছিল না এখন অনেকের পাকা ঘর হয়েছে।তিনি আরো বলেন সরকারি ভাবে যতটা সুযোগ সুবিধা আসবে সব গুলো তাদের আবেদনের ভিত্তিতে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct