আপনজন ডেস্ক: ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করেছে রাশিয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে স্থল, আকাশ ও নৌপথ দিয়ে ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়ান সেনারা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম ইউরোপের কোনো দেশ আরেক দেশে সর্বাত্মক হামলা চালাল। স্বাভাবিকভাবেই, হামলায় শুধু ইউক্রেন নয়, প্রভাব পড়ছে পুরো বিশ্বে। যুদ্ধের আঁচ থেকে ফুটবলও বাদ যাবে না, সেটি বোঝা গিয়েছিল আগে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল রাশিয়ায় হওয়ার কথা। আগামী ২৮ মে সেই ফাইনালের ভেন্যু হিসেবে ঠিক করা হয়েছিল জেনিত সেন্ট পিটার্সবার্গের মাঠ ক্রেস্তোভস্কি স্টেডিয়ামে। ২০১৮ বিশ্বকাপ উপলক্ষে বানানো স্টেডিয়ামটি পৃষ্ঠপোষক-সংক্রান্ত কারণে গাজপ্রম অ্যারেনা নামেই বেশি পরিচিত। কয়েক দিন আগে ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভাষণের পর রাশিয়ায় এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আয়োজন করা যায় কি না, কানাঘুষা শোনা যাচ্ছিল। সম্ভাব্য যুদ্ধের কারণে গাজপ্রম অ্যারেনা থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের ভেন্যু সরিয়ে নেওয়া হবে, মনে করা হচ্ছিল এমনটাও।
সেটিই হয়েছে। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের ভেন্যু এখন মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেদের প্যারিস। তবে পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেস নয়, এই মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ফ্রান্সের জাতীয় স্টেডিয়াম, রাজধানী প্যারিসে অবস্থিত স্তাদে দে ফ্রান্স। আজ আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই খবর দিয়েছে উয়েফা। ঘরের মাঠে ফাইনাল ম্যাচ, চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠার জন্য মেসিদের জন্য বাড়তি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে নিশ্চিত। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল আয়োজনের ব্যাপারে গতকাল উয়েফাপ্রধান আলেকসান্দর সেফেরিন আলোচনায় বসেছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে। প্যারিসে ফাইনাল আয়োজনের ঘোষণা সে আলোচনা সফল হওয়ারই প্রমাণ। তবে কয়েকদিন আগে ইংলিশ দৈনিব গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছিল, চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল অন্য ভেন্যুতে সরিয়ে নিলে বাণিজ্যিক চুক্তির ক্ষেত্রে লোকসান হতে পারে উয়েফার। কারণ আর কিছুই নয়, জেনিতের স্টেডিয়ামটির স্পনসর গাজপ্রমের সঙ্গে যে উয়েফার বড় অঙ্কের বাণিজ্যিক চুক্তি আছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct