আপনজন ডেস্ক: প্রায় ৮০০ থেকে ১২০০ বছরের পুরনো মমি আবিষ্কার করেছেন পেরুর প্রত্নতত্ত্ববিদরা। মঙ্গলবার তারা জানিয়েছেন রাজধানী লিমার পূর্বাঞ্চলের প্রাক-ইনকা সভ্যতার নিদর্শন কাজামারকুইলা ভবন থেকে এসব মমি উদ্ধার করা হয়েছে। মমিগুলোর মধ্যে রয়েছে আটটি শিশু ও বারোটি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মমি। উদ্ধারকৃত মমিগুলোর মধ্যে একজনের শরীর দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। এ কারণে এটি কোনো সম্মানীয় লোকের দেহ হতে পারে বলে ধারণা করছেন উদ্ধারকারী প্রত্নতত্ত্ববিদরা। মমি উদ্ধারকারী এ দলের সদস্য পিটার ভ্যান ডালেন বলেন, ‘মৃতদেহের কিছু মমি করা ছিল এবং অন্যগুলো কঙ্কাল। আর এসব প্রাচীন প্রাক-হিস্পানিক সংস্কৃতির অংশ হিসাবে বিভিন্ন স্তরে কাপড়ে মোড়ানো ছিল। সম্ভবত মূল মমির উদ্দেশ্যে বাকিগুলো উৎসর্গ করা হয়েছিল।’ এক সংবাদ সম্মেলনে ডালেন বলেন, ‘তাদের জন্য মৃত্যুই পরিণতি ছিল না। বরং এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাওয়া, যেখানে মৃতরা বাস করে। তারা ভাবতেন মৃতদের আত্মা জীবিতদের একসময় রক্ষক হয়ে ওঠে।’ ভ্যান ডালেন আরও বলেন, তাদের সমাহিত করার ধরনটি বেশ পরিচিত। প্রায় সতেরশ’ বছর আগে শিশু এবং বয়স্কদের সঙ্গে সিপানের লর্ডকে যেভাবে সমাহিত করা হয়েছিল, তার সঙ্গে এই মমিগুলো উদ্ধার হওয়া সমাধির মিল রয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিক দলের সদস্য ইয়োমিরা হুয়াম্যান বলেন, ‘অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় দেহের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র যেমন জ্যাম্পোনা জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। এই যন্ত্রটি আন্দিয়ান অঞ্চলের বাঁশিসদৃশ্য একটি বায়ু যন্ত্র। পেরুতে এখনো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে প্রাচীন ইনকা সভ্যতার নানা নিদর্শন। এগুলো পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় বস্তুতে পরিণত হয়েছে। হুয়াম্যান বলেন, ‘কাজামারকুইলা ভবনের মাত্র ১ শতাংশ খনন করা হয়েছে। আমি মনে করি এবং আমার দৃঢ় বিশ্বাস, উল্লেখ করার আরও অনেক কিছুই এ ভবন থেকে পাওয়া যাবে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct