আপনজন ডেস্ক: ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বৃহস্পতিবারের সকালটা অন্য দিনের মতো ছিল না। চোখেমুখে আতঙ্ক নিয়ে দিন শুরু হয় রাজধানীবাসীর। বিস্ফোরণ আর সাইরেনের শব্দে ঘুম ভেঙে যায় তাঁদের। এরপর শুরু হয় প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা। প্রাণভয়ে অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ের পেছনে ছুটেছেন, কেউ–বা পালিয়েছেন দেশ ছেড়ে। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে বাঁচতে শহরের মেট্রোস্টেশন এবং আশ্রয়শিবিরে ছুটেছেন কেউ কেউ। আর বাকিরা পালানোর চেষ্টা করেছেন। দেশ ছেড়ে যাওয়ার জন্য মরিয়া মানুষের কারণে পোল্যান্ড সীমান্তগামী সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। রাশিয়ার হামলার পর কিয়েভের সড়কে দুই ধরনের দৃশ্য দেখা গেছে। আকস্মিক এ হামলায় অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এর মধ্যে অনেককেই স্বাভাবিকভাবে কাজে যেতে দেখা গেছে। তাঁরা স্বাভাবিকভাবে অফিসগামী বাসে চড়ে বসেছেন। তবে অন্যদের মধ্যে ব্যস্ততার চিত্র চোখে পড়েছে। এ ছাড়া অনেকেই তাড়াহুড়া করে আশ্রয়ের খোঁজে মেট্রোস্টেশন এবং আশ্রয়শিবিরে ছুটেছেন। পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় ব্যাংক, সুপারমার্কেট এবং পেট্রলপাম্পগুলোতে মানুষের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। পেশায় বিক্রয় নির্বাহী মার্ক (২৭) নামের এক তরুণ বিবিসিকে বলেন, ‘এটা যুদ্ধ। সকাল সাতটার দিকে বিস্ফোরণ আর সাইরেনের শব্দে আমাদের ঘুম ভাঙে।’ রাশিয়াকে প্রতিরোধ করতে ইউক্রেনের ৯ লাখ মানুষ প্রস্তুত রয়েছে। মার্কও তাঁদের মধ্যে একজন। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আমি প্রস্তুত। এ ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার নেই।’ মার্ক বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই দেশকে রক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে যুদ্ধে মরতেও প্রস্তুত আমরা।’ তিনি বলেন, ইউক্রেনের প্রতিটি ইঞ্চি মাটি রক্ষার জন্য যুদ্ধ করবেন তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct