জয়প্রকাশ কুইরি,পুরুলিয়া,আপনজন: কাকা ভাইপোর লড়াইয়ে আসর জমেছে পুরুলিয়ার ঝালদা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড। পারিবারিক সম্পর্কেরও ঊর্ধ্বে কাকার দাবি যেহেতু কাকা বড় ভোট তিনি পাবেন। ভাইপো বলছেন তিনি নব্য প্রজন্মর আইকন তাই ভোট এবার যাবে তাঁর ঝুলিতে। আসলে এই কাকা ভাইপোর আড়ালে রয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূলের লড়াই। একদিকে তৃণমূলের নবীন প্রজন্ম অন্যদিকে কংগ্রেসের প্রবীণ প্রজন্ম। ধুন্ধমার লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসবে তা অবশ্য ভোটের ফল প্রকাশের পরই জানা যাবে। ঝালদা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড বরাবর তপন কান্দুর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে জয়লাভ করে তিনি কাউন্সিলার হয়েছেন একাধিকবার পৌরপ্রধানও হয়েছেন একবার।
রাজনীতির পৌড় খাওয়া এই ব্যক্তিত্ব এবারও কংগ্রেসের টিকিটে ওই ওয়ার্ডের প্রার্থী। তাঁর দাবি পৌরসভার উন্নয়নমূলক কাজ গুলো যথেষ্ট পরিমানে বাকি রয়ে গিয়েছে। তৃণমূল সুবর্ণরেখা জল প্রকল্পর ললিপপ ঝুলিয়ে মানুষকে বোকা বানাচ্ছে। আমরা ক্ষমতায় এলে সুবর্ণরেখা জল প্রকল্পর তাড়াতাড়ি রূপায়ণ করা হবে। এছাড়া শহরে নাগরিক পরিষেবা যেমন সাফাই ,পানীয় জল ,রাস্তা ঘাট নির্মাণ এগুলোও যথাযথ ভাবে করা হবে। নাগরিকরা যেসব পরিষেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন বাড়ি পাননি , অনেকে ভাতা পাননি সেগুলো তারা যেন যথাযথ ভাবে পান তার দ্রুত ব্যাবস্তা করবেন। কংগ্রেস পৌরসভায় জয়লাভ করলে পুরোপুরি মহকুমা শহর হিসেবে গড়ে উঠবে ঝালদা এচেষ্টা কংগ্রেস করবে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে তৃণমূলের প্রার্থী দীপক কান্দু বলেছেন আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক অনুযায়ী কাকাকে অবশ্যই আমি সম্মান করি কিন্তু রাজনীতির ময়দানে এখন তৃণমূলের বিকল্প কেউ নেই। তাছাড়া তৃণমূলের যেসব প্রকল্প গুলি ঝালদায় তৃণমূল নিয়েছি এযাবৎ কোনো প্রশাসন বা প্রশাসক মন্ডলী সেই উন্নয়নের প্রকল্প নেয়নি। আমরা ক্ষমতায় এলে সুবর্ণরেখা জল প্রকল্প সবথেকে আগে রূপায়িত হবে। কারণ আমরা প্রথম ডিপিআর পাঠিয়েছি। সেই ডিপিআর অনুযায়ী কাজ চলছে। ঝালদাকে কেন্দ্র করে পর্যটক সার্কিট বানাবো আমরা। শহরের মানুষ বলছেন একই ওয়ার্ডে দুই প্রজন্মের এই লড়াই শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামবে তা জানা যাবে ২ রা মার্চ। তবে লড়াই যে জমেছে একথা স্বীকার করেছেন ঝালদার মানুষ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct