আপনজন ডেস্ক: মায়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর সংঘটিত গণহত্যা মামলার গণশুনানি সোমবার শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে)। শুনানি চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও গ্লোবাল জাস্টিস সেন্টার জানিয়েছে, এই শুনানি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। সোমবার সংস্থা দুইটি এ মামলার সাম্প্রতিক অগ্রগতি নিয়ে একটি কিউঅ্যান্ডএ (প্রশ্নোত্তর) নথি প্রকাশ করেছে। এতে অন্তর্ভুক্ত আছে মিয়ানমারে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারির সামরিক ক্যুর বিস্তারিত বর্ণনা।সোমবার মামলার আরেক শুনানিতে অংশ নিচ্ছে মিয়ানমার। এবার তারা বলার চেষ্টা করবে, এই মামলা পরিচালনার এখতিয়ার আইসিজের নেই। প্রতিবেদনের আরও বলা হয়, মিয়ানমারের পক্ষে এবার অংশ নেবেন আন্তর্জাতিক সহায়তা মন্ত্রী কো কো লায়িং ও অ্যাটর্নি জেনারেল থিদা। তারা শুনানিতে ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন। অভ্যুত্থানের পর এই দুজনের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে করা মামলায় গাম্বিয়াকে সহায়তা করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিল কানাডা ও নেদারল্যান্ডস। সেই সময় এক যৌথ বিবৃতিতে কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা জানিয়েছিলেন, দুই দেশ এখন ‘গণহত্যা সংক্রান্ত অপরাধ থামাতে এবং দায়ীদের বিচারের আওতায় আনতে’ জেনোসাইড কনভেনশন পর্যালোচনা করছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা বন্ধ বা দোষীদের শাস্তি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় গাম্বিয়া ২০১৯ সালের নভেম্বরে আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct