আপনজন ডেস্ক: চলমান ইউক্রেন উত্তেজনা নিয়ে রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, আমরা যুদ্ধ চাই না। ইউরোপে কোনো যুদ্ধের কথা চিন্তা করতে পারি না। মস্কোতে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে বৈঠক শেষে মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। পুতিন বলেন, ইউরোপে আমরা কোনো যুদ্ধের কথা ভাবতে পারি না। ইউক্রেন ইস্যুতেও যুদ্ধ চায় না রাশিয়া। ১৯৯০ সালে যুগোস্লাভিয়া ইস্যুতে যুদ্ধ হয়েছিল এই মহাদেশে। যা হয়েছে ন্যাটোর প্ররোচণায়। তিনি আরও বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না দেখেই কূটনৈতিক আলোচনার পথ খোলা রেখেছি। অন্যদিকে, দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তে উপস্থিত রুশ সেনাদের মধ্যে কিছু সেনা ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ইউক্রেন সীমান্তে মোতায়েনরত কিছু সৈন্যকে সামরিক ঘাঁটিতে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে মস্কো। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘দায়িত্বপালন শেষে দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় বিভিন্ন সামরিক জেলার অধীনস্ত ইউনিটগুলো ইতোমধ্যে রেল ও সড়ক পরিবহনগুলোতে আসন গ্রহণ করতে শুরু করছে। মঙ্গলবার তারা সামরিক ঘাঁটিতে ফিরে যাবে।’ এর ফলে ইউক্রেনে যুদ্ধ নিয়ে যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তার আপাত অবসান হল বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভারত থেকে ইউক্রেনে বহু ছাত্রছাত্রী ডাক্তারি পড়ার জন্য যান। যুদ্ধের আবহের মধ্যেও বহু ছাত্র কিয়েভে পৌঁছেছেন। এখান ইউক্রেনের রাজধানীতে কোনও ধরনের যুদ্ধের উত্তাপ নেই, একেবারে স্বাভাবিক বলে জানাচ্ছেন ওই সব পড়ুয়ারা। এ ব্যাপারে কলকাতার অন্যতম কনসালটেন্ট সংস্থা চেকমেট-এর কর্ণধার কাজী মুহাম্মদ হাবিব জানিয়েছেন, তাদের ব্যবস্থায় ইউক্রেনের মেডিক্যাল কলেজে পড়ার জন্য যাওয়া বীরভূমের এক ছাত্রী শবনম বেগম ইউক্রেনে পৌঁছান আজ মঙ্গলবার। চেকমেট মারফত তার সঙ্গে যোগাযোগ হওয়ায় ওই ছাত্রী জানান, পরিস্থিতি একেবারেই শান্ত। যুদ্ধের কোনও ধরনের উত্তাপ এখানে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ফলে, এই ঘটনায হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন ইউক্রেনে পড়তে যাওয়া বহু ভারতীয় পড়ুয়া।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct