আপনজন ডেস্ক: রাজ্যের চার পুর নিগমের নির্বাচনে জোর ধাক্কা খেল রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি। চারটি পুরনিগমের সবকটিই তৃণমূল বিপুল ভাবে জয়ী হয়ে দখল করে নিল। রাজ্যের ১০৮টি পুরসভা নির্বাচেনর আগে এই জয় তৃণমূল কংগ্রেসকে অনেকটাই উজ্জীবিত করে তুলবে। চার পুরনিগমের মধ্যে সবচেযে বেশি আসন আসানসোল পুরনিগমে। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির গড় হয়ে ওঠা আসানসোলের এবার ব্যাপক ধস নেমেছে পদ্মফুলে। ১০৬টি আসনের মধ্যে সাতটি আসন পেযেছে বিজেপি। ৯১টি আসন পেয়েছে একা তৃণমূল কংগ্রেস। এছাড়া কংগ্রেস তিনটি, বামফ্রন্ট দুটি ও তিনটি নির্দল পেয়েছে। বিধাননগর পুরনিগমে ৪১টি আসনের মধ্যে তৃণমূল একাই পেয়েছে ৩৯টি আসন। কংগ্রেস একটি ও একটি নির্দল জিতেছে। তবে, বিধাননগর পুরনিগমে বামেরা কোনও আসন না পেলেও প্রার্থীদের ভোটপ্রাপ্তির বিচারে বেশিরভাগ আসনে বামেরা দ্বিতীয় স্থান দখল করেছেন। চন্দননগর পুরনিগমেও বামেরা দ্বিতীয় স্থানে। তবে তৃণমূলের এই সাফল্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘মানুষের রায় আমরা মাথা পেতে নেব। আমি আমার দল, দলের প্রত্যেকটা কর্মী এবং মানুষের কাছে, তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের কাছে কৃতজ্ঞ। মানুষের আশীর্বাদের দাম যেন আমরা দিতে পারি। আমরা যত জিতব তত যেন আমরা নম্র হই।’ সেই সঙ্গে চারটি পুরসভায় জয়ীদেরকে সুন্দরভাবে গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন কর্পোরেশন গড়ার আহ্বান জানান।
নির্বাচন কমিশনের থেকে শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বিধাননগরে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার ৭৩.৮২ শতাংশ। বামেদের ভোটের হার ১০.৬৬ শতাংশ। বিজেপির ভোটের হার ৮.৩৫ শতাংশ। কংগ্রেস ভোট পেয়েছে ৩.৪৯ শতাংশ। ভোট প্রাপ্তির নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। কিন্তু গত বিধানসভা ভোটে এই বিধাননগরেই বামেরা কিন্তু দ্বিতীয় স্থানে ছিল না। সেই জায়গায় বিজেপি বিধাননগরে দ্বিতীয় স্থানে ছিল। আসানসোলের ১০৬টি মধ্যে তৃণমূলের দখলে ৯১টি। ৩২টির মধ্যে চন্দননগরে রাজ্যের শাসক দল পেয়েছে ৩১টি। শিলিগুড়িতে ৪১টির মধ্যে জোড়া-ফুল পেয়েছে ৩৭টি ওয়ার্ড। ফলে, বিজেপি চার পুরনিগমে প্রায় সাফ হয়ে গেছে। াার বিজেপিকে সরিয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানের দিকে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct