রঙ্গিলা খাতুন, লালগোলা: লালগোলা বাঁধপুল থেকে পরানপুর পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার রাস্তা ৭ বছর ধরে বেহাল অবস্থা। এই রাস্তাটি ময়া এবং বাহাদুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েত মানুষের একমাত্র ভরসা। হাসপাতাল থেকে স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীদের অসুবিধা তো হয়ই সঙ্গে সাধারণ মানুষ যাতায়াত থেকে শুরু করে ভাঙা গর্তের রাস্তার টোটো গাড়ি অনেক ক্ষেত্রে উল্টে গিয়ে দূর্ঘটনা ঘটে। প্রসঙ্গত লালগোলা বাঁধপুল থেকে পরানপুর এই রাস্তাটি রঘুনাথগঞ্জ বিধানসভায় ময়া অঞ্চলের কিছু অংশ লালগোলা বিধানসভার বাহাদুরপুর অঞ্চলের কিছু অংশ পড়ছে। যদিও সমস্ত রাস্তাটি লালগোলা ব্লকের অন্তর্গত। স্থানীয় বাসিন্দা ও লালগোলা রক্তযোদ্ধা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্য রবিউল ইসলাম জানান, প্রায় সাত বছর ধরে এই রাস্তা খারাপ হয়ে পড়ে আছে, বর্ষার এলে তো জলে নদীর মতো ভর্তি হয়ে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে বাঁধপুর, মুকিমনগর, ছাইতনী, পরানপুর সহ একাধিক গ্রামের মানুষ। প্রতিদিন এই রাস্তাদিয়ে সকাল-সন্ধ্যা কয়েক হাজার মানুষ প্রত্যেকদিন চলাফেরা করে। তাছাড়া দুটো বিএড কলেজের, কয়েকশো ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন ব্লক থেকে পড়াশোনা করতে আসে। রাস্তার উপর দিয়ে চলাচল করে একবারে সম্ভবই হয়না। বৃষ্টি হলে মনে হয় এ রাস্তা দিয়ে যাওয়া যাবে না অন্য রাস্তা বিকল্প খুঁজতে হয়। ছাইতনি গ্রামের বাসিন্দা দিলওয়ার হোসেন জানান, এই স্কুলে অনেক অসংখ্য বাচ্চা ছোট ছোট ইংলিশ মিডিয়াম এবং একটা প্রাইমারি সরকারি স্কুল আছে বাচ্চাদের স্কুলে যেতে খুব প্রবলেম হয় মাঝে মাঝে টোটো থেকে পড়ে বাচ্চারা পড়ে গিয়ে জঘম হয়।
ধানঘরা মিনারুল ইসলামের বলেন, গর্ভবতী মায়েদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তা দিয়ে গ্রহণযোগ্য নয়, এমনই রাস্তা মনে হয় রাস্তাতেই বাচ্চা হয়ে যাবে। এই বিষয়ে বাহাদুর প্রধানের স্বামী মোঃ সামীম আলী বলেন, এই রাস্তাটি মেরামতের জন্য বিডিও জানানো হয়েছে খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে। যদিও লালগোলার বিডিও সুব্রত ঘোষ বলেন, এই রাস্তা মেরামতের জন্য স্কিম দেওয়া আছে। আপাতত বাঁকপুল থেকে বি.এড কলেজ পর্যন্ত কাজ শুরু হবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct