আপনজন ডেস্ক: আজারবাইজানের সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন অবস্থানে গোলাবর্ষণ করেছে আর্মেনিয়া। বৃহস্পতিবার আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এমন তথ্য জানিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা থেকে বাসরকেচর অঞ্চলের ইউখারি শোরজা বসতি এলাকায় অবস্থান করা আর্মেনিয়ার সামরিক বাহিনীর ইউনিটগুলো কালবাজার অঞ্চলের জেইলিক বসতিতে মোতায়েন করা আজারবাইজানি সামরিক বাহিনীর ওপর গোলাবর্ষণ করে। আজারবাইজান আরো জানিয়েছে, আজারবাইজানি সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের পক্ষ থেকে ওই আর্মেনীয় হামলার জবাবে পাল্টা গোলাবর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু, এখন সার্বিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতার পর থেকেই আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে উত্তেজনা চলে আসছে।
১৯৯৪ সালে আজারবাইজানের ভূমি হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নাগরনো-কারাবাখ ও এর কাছাকাছি আরো সাতটি অঞ্চল আর্মেনিয়া দখল করে নিলে এ উত্তেজনা বাড়ে। ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বরে আর্মেনিয়া আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করলে দু’দেশ নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। ৪৪ দিনের যুদ্ধে আর্মেনিয়ার দখল থেকে মুক্ত করে আজারবাইজান বিভিন্ন শহর ও অন্তত তিন শ’ জনবসতি ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নেয়, যা প্রায় তিন দশক আর্মেনীয়দের অধীনে ছিল। যুদ্ধ বন্ধ করতে ও সংঘাতের দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য দেশ দু’টি রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ২০২০ সালের ১০ নভেম্বর তারিখে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি আজারবাইজানের জয় ও আর্মেনিয়ার পরাজয় হিসেবে মনে করা হয়। চুক্তিটির ফলে আর্মেনিয়াকে নাগরনো-কারাবাখ থেকে তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সরিয়ে ফেলতে হয়েছে। যুদ্ধবিরতি তদারকে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে স্মারক চুক্তির আওতায় নাগরনো কারাবাখের আগদাম অঞ্চলে একটি যৌথ মনিটরিং সেন্টার চালু করা হয়েছে। যৌথ এই মনিটরিং সেন্টার থেকে তুরস্ক ও রাশিয়ার সেনাবাহিনী যৌথভাবে যুদ্ধবিরতি তদারকি করছে।
আরও পড়ুন: