রাজু আনসারী,অরঙ্গাবাদ,আপনজন: মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ ব্লকের সাকারঘাট জুনিয়র হাইস্কুলে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৭৪৪ জন শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য শিক্ষক রয়েছে মাত্র ১জন। সোমবার ছাত্র সংগঠন এসআইও-র এক প্রতিনিধি দল স্কুলটি পরিদর্শন করে। মঙ্গলবার স্কুলের শিক্ষক সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে ধুলিয়ান চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শকের নিকট ডেপুটেশন দিল এসআইও। এই স্কুলের সমস্যা দূর করার জন্য এসআইও শিক্ষা দপ্তর তথা রাজ্য সরকারকে সদার্থক ভূমিকা পালনের দাবি জানান। উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই জুনিয়র হাইস্কুলটি ৬২ জন শিক্ষার্থী ও একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিয়ে চালু হয়। ২০০৯ সালে ৩জন শিক্ষক নিয়োগ হলেও ২০১৩ সালে দুইজন শিক্ষক বদলি হয়ে যান, একাই থেকে যান শিক্ষক সামশুল হক। এরপর ২০১৩ সালে একজন অতিথি শিক্ষক এলেও বছর তিনেক পরে তিনিও অবসর নেন। কিন্তু তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত ৭৪৪ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য একমাত্র শিক্ষক তিনি। একমাত্র শিক্ষক সামশুল হকই স্কুলের সমস্ত বিভাগের কাজ সামলান। স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় গ্রামবাসীদের সাহায্যে ছাত্রছাত্রীদের থেকে বছরে ২২০ টাকা করে নিয়ে মাসিক তিন হাজার টাকা বেতনে স্থানীয় ৪জন শিক্ষককে নিয়ে বর্তমানে পঠন-পাঠন চলছে এই স্কুলে।
এসআইও উত্তর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ইত্তেহাদ আলম বলেন শিক্ষার অধিকার আইন অনুযায়ী উচ্চ প্রাথমিক স্তরে ৩৫ জন ছাত্র-ছাত্রী জন্য এক জন শিক্ষক থাকা প্রয়োজন, কিন্তু সেখানে ৭৪৪ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য মাত্র ১জন শিক্ষক, যা শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার একটা নিদর্শন। তিনি শিক্ষার অধিকার আইনের বাস্তবায়ন এবং অতিথি শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষক সংকট সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করার দাবিও জানান। তিনি আরও বলেন, বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে আমরা সাকারঘাট জুনিয়র হাইস্কুলের শিক্ষক সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়টি অবগত করেছি। তিনি আশ্বস্ত করেছেন শিক্ষা দফতরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দ্রুত এই সমস্যা দূর করার চেষ্টা করবেন। এসআইও-র প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন এসআইও উত্তর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সম্প্রসারণ সম্পাদক জাহিরুল হক, সামশেরগঞ্জ ব্লক সভাপতি রমজান আলি, ব্লক সম্পাদক রিতু সেখ প্রমুখ ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct