রাজু আনসারী,অরঙ্গাবাদ,আপনজন: হরেক রকম চায়ের সমাহারে অভিনব এক চায়ের দোকান লক্ষ করা গেল মুর্শিদাবাদের সুতি থানার ছাবঘাঁটি সানুর মোড়ে। সেই মোড়েই রয়েছে রাহুল খান নামে এক যুবকের চায়ের দোকান। কি রয়েছে সেই চায়ের দোকানে। দোকানে রয়েছে মালাই চা, কেসর চা, কাজু চা, বাটার চা, তন্দুরী চা, মাশালা চা, গুড়ের চা, লোকাল চা এবং লেবু চা। আর এই হরেক রকম চায়ের স্বাদও ভিন্ন ভিন্ন। শুধু স্বাদে ভিন্নতাই নয়, দামেও রয়েছে ভিন্নতা। সেই চা খেতে সকাল সন্ধ্যা দোকানে লম্বা ভিড় জমছে যুবকদের। শুধু লোকাল এলাকার নয়, চায়ের দোকানদার মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে রাহুল খানের দাবি, সুতি ব্লক তো বটেই, ফরাক্কা, সামসেরগঞ্জ, জঙ্গিপুর, সাগরদীঘি এমনকি নবগ্রাম থেকেও কাস্টমার আসেন এবং চা খেয়ে যান। ভিন্ন ভিন্ন স্বাদের চা ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম। রাহুল খান জানান, গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে একসময় দেশের রাজধানীতে কাজে গিয়েছেন এবং সেখানেই হরেকরকম আইটেমের চা তৈরিতে পারদর্শী হন। তারপরেই বাড়ি ফিরে এসে এলাকায় চায়ের দোকান খোলেন। ধীরে ধীরে কার্যত ব্যাপক জনপ্ৰিয়তা পেতে থাকে রাহুলের চা। শিশু থেকে বৃদ্ধ এখন রাহুলের চায়ের দোকানই যেন সকলের ভরসা। রোজ দেড় হাজারেরও বেশি খরিদ্দার।
তার দোকানে চা খাঁন বলেও দাবি করেন রাহুল খান। রাহুল খান জানান, দিল্লী থেকে এসে চায়ের রেস্টুরেন্ট করি। ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ এবং হরেক রকম কোয়ালিটির চা যুব সমাজের অতি প্রিয় হয়ে উঠেছে।প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চা খেয়ে যান। আগামীদিনে আরো কোয়ালিটি বাড়ানোর ইচ্ছা রয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলায় আমার দোকানেই এরকম ভ্যারাইটিজ চা পাওয়া যায়। এদিকে সামসেরগঞ্জ থেকে চা খেতে এসে যুবক শামসুর রহমান জানান, অসাধারণ চা। আলাদাই অনুভূতি। ভিন্ন স্বাদের ভিন্ন দামের চা এলাকায় প্রথম করছেন রাহুল খান।তাই সুযোগ মিললেই বারবার ছুটে যাচ্ছি সেই চায়ের দোকানে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct