আপনজন ডেস্ক: রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছেই। এর মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ইউক্রেনে হামলা চালানো থেকে বিরত রাখার জন্য এবং উত্তেজনা প্রশমনে কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও জার্মানির চ্যান্সেলর দেশ দুটিতে সফরে যাবেন। সামনের সপ্তাহগুলোতে এ সফর অনুষ্ঠিত হবে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সোমবার মস্কো ও মঙ্গলবার কিয়েভ সফর করবেন। অপরদিকে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ ১৪ ফেব্রুয়ারি কিয়েভ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি মস্কো সফর করবেন। ন্যাটোর সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে পুতিনের অবস্থানকে চীনের সমর্থন এবং ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে ইউক্রেনে রাশিয়া হামলার পাঁয়তারা করছে বলে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ জানানোর পর এ উচ্চপর্যায়ের সফরের কথা সামনে এল। যদিও যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়নি। অপরদিকে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। এদিকে রাশিয়ার সম্ভাব্য আক্রমণ ঠেকাতে প্রস্তুতির জন্য ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ফ্রান্স রুমানিয়ায় সেনা মোতায়েন করছে। একই সঙ্গে ম্যাক্রোঁ পুতিনের সঙ্গে সংলাপের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে তারা বেশ কয়েকবার কথাও বলেছেন। শুক্রবার ম্যাক্রোঁর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ম্যাক্রোঁর সঙ্গে পুতিনের সোমবার সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাক্রোঁ ভূ-রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি পৃথক পথে এগিয়ে যাওয়ার ফরাসি ঐতিহ্য অনুসরণ করছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনায় নিজের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করা এবং ইউরোপের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টাও করছেন। অপরদিকে জার্মানি মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনে বিভিন্ন কূটনৈতিক পদক্ষেপের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে মিত্রদের অসন্তুষ্টি সত্ত্বেও ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে দেশটি। এ সঙ্কটে কম তৎপর হওয়ায় ইতোমধ্যে দেশে সমালোচনার মধ্যে পড়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর স্কোলজ। কয়েক সপ্তাহে সংলাপের উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টার পরও যুক্তরাষ্ট্র বা রাশিয়া কেউই ছাড় দেয়নি, এ জন্য উত্তেজনা প্রশমনে ফ্রান্স ও জার্মানির নেতাদের সফর কতটুকু প্রভাব ফেলবে তা এখনও নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct