আপনজন ডেস্ক: ফুটবল মাঠে আবারও মৃত্যু।আলেক্সান্দ্রোস লাম্পিস ২১ বছরের টগবগে তরুণ। গ্রিসের তৃতীয় বিভাগের দল লিউপুলির হয়ে পরশু মাঠে নেমেছিলেন এই মিডফিল্ডার। এরমিওনিদার বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র পাঁচ মিনিটের মাথায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মাঠেই পড়ে যান লাম্পিস। গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের ফার্স্ট মিউনিসিপ্যাল স্টেডিয়ামে এ ঘটনার সবচেয়ে মর্মান্তিক বিষয় হলো, লাম্পিস অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়ার পর তাঁর জ্ঞান ফিরিয়ে আনার জন্য ‘সিপিআর’ প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়নি। ঘটনার ২০ মিনিটের মধ্যেও পৌঁছাতে পারেনি অ্যাম্বুলেন্স। মাঠেও ডিফিব্রিলেটর (হৃৎপিণ্ড পাম্প করার যন্ত্র) ছিল না। লিউপুলি নিজেদের ফেসবুক পেজে লাম্পিসের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে লিখেছে, ‘আমাদের আলেকো, আমাদের বন্ধু, আমাদের ভাই, তুমি বড় অসময়ে চলে গেলে। পুরো দল, পুরো শহর শোকগ্রস্ত, যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। যাত্রা শুভ হোক আলেকোরা।’ গ্রিসের সংবাদমাধ্যম অবশ্য দাবি করেছে, স্টেডিয়ামে ডিফিব্রিলেটর থাকলেও সেটি এমন জায়গায় ছিল, যেখান থেকে এনে দ্রুত ব্যবহার করতে পারেননি চিকিৎসকেরা। লাম্পিসকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও ততক্ষণে দেরি হয়ে যায়। আট মাস আগে ইউরোয় ডেনিশ মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান এরিকসেন মাঠেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে গিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছিলেন। ভাগ্যিস, মাঠেই ‘সিপিআর’ ও ডিফিব্রিলেটর দিয়ে তাঁর চেতনা ফিরিয়ে আনেন ডেনিশ অধিনায়ক সিমোন কায়ের ও দুই দলের চিকিৎসকেরা। এরিকসেন সে যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গিয়ে এখন মাঠে ফেরার অপেক্ষায়। বুকে ‘পেসমেকার’ নিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল ব্রেন্টফোর্ডের হয়ে খেলবেন তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct