আপনজন ডেস্ক: ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের দুই নক্ষত্র সাদিও মানে ও মোহাম্মদ সালাহ। লিভারপুলের দুই সতীর্থ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেন জয়ের জন্য। দুই বন্ধু এবার একে অপরের প্রতিপক্ষ। আফ্রিকান কাপ অব নেশনসের (আফকন) ফাইনালে মানের সেনেগালের মোকাবিলা করবে সালাহর মিশর। বৃহস্পতিবার রাতে সেমিফাইনালে ক্যামেরুনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে মিশর। আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারি ক্যামেরুনের পল বিয়া স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। আফ্রিকানের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে গোলশূন্য ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত সময়েও আসেনি ফল। এরপর পেনাল্টি শুট আউটে নিষ্পত্তি হয় ম্যাচ। টাইব্রেকারে মিশর গোলরক্ষক আবু গাবালের নৈপুণ্যে ৩-১ ব্যবধানে জিতে ফাইনালে পা রাখে আফকনের রেকর্ড সাতবারের চ্যাম্পিয়নরা। টাইব্রেকার ভাগ্যে পরাস্ত হলেও গোটা ম্যাচে মিশরের উপর আধিপত্য বিস্তার করে ক্যামেরুন। ৫৩ শতাংশ বল দখলে রেখে স্বাগতিকরা ৯টি শট নেয়। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ৩টি। অপরদিকে ৪৭ শতাংশ বল দখলে রাখা মিশর ৭টি শটের ১টি লক্ষ্যে রাখে। ১৮তম মিনিটে দুর্ভাগ্যবশত গোল পায়নি ক্যামেরুন। মাইকেল এনগাদেউ-এনগাদুইয়ের হেড বারের কোণায় লেগে ফেরত আসে। ফিরতি বলে ভিনসেন্ট আবুবকরের শট একজনের গায়ে লেগে একটুর জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ৩২তম মিনিটে ফাঁকা পোস্ট পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি ক্যামেরুন ফরোয়ার্ড তোকো একাম্বি।
বিরতি থেকে ফিরে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন মোহাম্মদ সালাহ। ৫৬তম মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে ক্যামেরুনের মার্টিন হোগলান গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানার উদ্দেশ্যে ব্যাক পাস দিলে তা পেয়ে যান সালাহ। নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সের দিকে এগোতে থাকেন তিনি। কিন্তু সময়মত পোস্ট ছেড়ে বের হয়ে এসে সালাহর আক্রমণ নষ্ট করে দেন ওনানা। অতিরিক্ত সময়ে রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে দুদল। এরইমধ্যে ১০০তম মিনিটে ডি-বক্সের মাথা থেকে সালাহর আড়াআড়ি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১১৭তম মিনিটে মিশরের রামাদান সোভির ক্রসে পা ছোঁয়াতে পারেননি গোল মুখে থাকা তিন সতীর্থের কেউ। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে প্রথম শটটি শুধু ঠেকাতে পারেননি মিশর গোলরক্ষক আবু গাবাল। ক্যামেরুন স্টার ভিনসেন্ট আবু বকরের শটে ডাইভ দেন উল্টো পাশে। এরপর হ্যারল্ড মুকুদি ও জেমস লিয়া সিলিকির শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। ক্লিন্টন এন’জিয়ি আকাশে উড়িয়ে মেরে হতাশ করেন। আর মিশরের নেয়া তিনটি শট থেকে গোল করেন আহমেদ সাঈদ, মোহামেদ আব্দেল মোনেম এবং মোহানাদ ল্যাশিন। ফাইনালে প্রধান কিংবা সহকারী- কোনো কোচকেই পাবে না মিশর। ম্যাচ রেফারির সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে টানা দুই হলুদ কার্ড দেখেন মিশর কোচ কিরোস। ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে যাওয়ার আগ মুহূর্তে হলুদ কার্ড দেখেন মিশরের সহকারী কোচ গোমা। মরক্কোর বিপক্ষেও হলুদ কার্ড দেখেছিলেন মেজাজী এই কোচ। তাই মিশর ফাইনালে ডাগআউটে পাবে দুই কোচকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct