আপনজন ডেস্ক: শীতে জমে তুরস্কে ১২ অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছেন। গ্রিস সীমান্তের কাছে এ ঘটনা ঘটেছে। এই বিয়োগান্তক ঘটনার জন্য দুই দেশ একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়েছে। তুরস্কের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গ্রিসের সীমান্তে কর্মরতরা তাঁদের ফেরত পাঠিয়েছে। ফলে শীতে জমে তাঁরা মারা গেছেন। তবে গ্রিস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বুধবার সকালে নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর আরও দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আরেকজন ঠান্ডায় অসুস্থ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসা অবস্থায় তিনি মারা যান। তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সয়লু বলেন, গ্রিসের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ওই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আটকের পর তাঁদের পোশাক ও জুতা খুলে নেন। তবে গ্রিসের অভিবাসন মন্ত্রী নটির মিটারাচি বলেন, এই মৃত্যুর ঘটনা বিয়োগান্তক। এ ছাড়া তুরস্কের বক্তব্যকে প্রপাগান্ডা বলে আখ্যা দিয়েছেন তিনি। মন্ত্রী আরও বলেন, এই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা সীমান্তে আসেননি। আন্তর্জতিক আইন অনুসারে, কোনো অভিবাসনপ্রত্যাশীকে ফিরিয়ে দিতে পারে না গ্রিস। তবে দীর্ঘদিন ধরে অভিবাসীদের ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে গ্রিসের বিরুদ্ধে। যদিও গ্রিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে।এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে সাত বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন। অবৈধভাবে তাঁরা নৌকাযোগে লিবিয়া থেকে ইতালির লাম্পেদুসা দ্বীপের উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন। শীতে তাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন। সর্বশেষ তুরস্ক ও গ্রিস সীমান্তে যারা মারা গেলেন তাদের মধ্যে কেউ বাংলাদেশের আছেন কি না, তা জানা যায়নি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct