আপনজন ডেস্ক: ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সংকটের সমাধানে আলোচনায় কিয়েভ সফরে গিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কির আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার আঙ্কারা থেকে কিয়েভে গেলেন এরদোগান। ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সংকটের মধ্যস্থতায় জেলেনস্কির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সফরে গেলেন এরদোগান। কিয়েভের বরিসপিল বিমানবন্দরে প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে স্বাগত জানান দেশটিতে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ইয়ামুর আহমদ গুলদেরে। এই সময় তুরস্কে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভাসিল বনদার উপস্থিত ছিলেন। পরে কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ম্যারিনস্কি প্রাসাদে তাকে স্বাগত জানান ভলোদেমির জেলেনস্কি। সফরে জেলেনস্কির সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তার। পরে তুরস্ক ও ইউক্রেনের মধ্যে উচ্চ-পর্যায়ের কৌশলগত কাউন্সিলের ১০ম বৈঠকে অংশ নেবেন এরদোগান।বৃহস্পতিবার একইসাথে তুরস্ক ও ইউক্রেনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হচ্ছে। এর আগে কিয়েভে রওনা হওয়ার আগে আঙ্কারা বিমানবন্দরে এক সংবাদ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে তুরস্ক পরিস্থিতি ‘নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছে।তিনি বলেন, ‘সব প্লাটফর্মে ইউক্রেনের ভৌগলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি তুরস্কের সমর্থনের বিষয়ে আমরা কথা বলে যাবো।’পাশাপাশি তিনি আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় সব পক্ষকে সংযম অনুশীলন ও সংলাপে অংশ গ্রহণের প্রতি আহ্বান জানান। ২০১৪ সালে ইউক্রেনে রুশপন্থী সরকারের পতনের পর রাশিয়া দেশটিতে আগ্রাসন চালিয়ে ক্রিমিয়া দখল করে নেয়। ওই সংঘর্ষ বন্ধে ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যস্থতায় ২০১৫ সালে বেলারুশের মিনস্কে ইউক্রেন ও রাশিয়া অস্ত্রবিরতি চুক্তি করে। নতুন করে আবার সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য সমাবেশের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে উত্তেজনা বিরাজ করছে।ইউক্রেনের অভিযোগ, দেশটির পূর্বাঞ্চলে কিয়েভের বিরুদ্ধে লড়াইরত রুশপন্থী বিদ্রোহী যোদ্ধাদের সহায়তার নামে ইউক্রেনে আগ্রাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মস্কো। অপরদিকে ইউক্রেনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। দেশটি বলছে, সামরিক বাহিনীর মহড়ার অংশ হিসেবে ওই সৈন্য সমাবেশ করা হয়েছে।সৈন্য সমাবেশের জেরে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে রাশিয়ার সম্পর্কে উত্তেজনা চলছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct