আপনজন ডেস্ক: ভারতে প্রতি ১০০ জন ক্যানসার আক্রান্ত পুরুষের মধ্যে সাতজন কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হন৷ মহিলাদের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা একটু কম। এতদিন ভারতে কোলন ক্যানসার খুব মানুষেরই হত। কিন্তু গত পাঁচ বছরে হঠাত্ করে কোলন ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে৷ যার জন্য দায়ী করা হচ্ছে আধুনিক লাইফস্টাইল, সেইসঙ্গে প্যাকেটজাত খাবার খাওয়ার প্রবণতা দিন দিন বেড়ে যাওয়াকে৷ বিশেষ করে ৪০-৬০ বছর বয়সিদের মধ্যে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে৷
অর্শ্ব ও কোলন ক্যান্সার, এই দুটি রোগের ক্ষেত্রে কিছু উপসর্গ প্রায় মিলে যায়। যেমন মলদ্বারে প্রদাহ, মলত্যাগের সময় তীব্র যন্ত্রণা কিংবা রক্তপাতের মত সমস্যা থাকলে তা অর্শ্ব না কোলন ক্যান্সার, এটি সাধারণ মানুষের পক্ষে বুঝে ওঠা কিছুটা কঠিন। কিন্তু কিছু কিছু উপসর্গ রয়েছে যা কিছুটা হলেও আলাদা। দিনে কতবার মল ত্যাগের প্রয়োজন অনুভূত হয় তার তারতম্য ঘটা, আচমকা বমি বমি ভাব, মলের সঙ্গে রক্ত, ঠিকমতো মলত্যাগ না হওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়েরিয়া, গা ঘুলিয়ে ওঠা, ওজন কমে যাওয়া, তলপেটে ব্যথা, পেলভিস ও বৃহদন্ত্রের শেষ অংশে যন্ত্রণা, খিদে না পাওয়া ইত্যাদি উপসর্গগুলো কোলন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে দেখা গেলেও সাধারণত অর্শ্ব রোগীদের ক্ষেত্রে এগুলো দেখা যায় না। জিনগত কারণে কোলন ক্যানসার হলে রিস্ক জোনে থাকেন রোগীর নিকটাত্মীয়রাও৷ এছাড়া আধুনিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হলে৷ অতিরিক্ত মোটা বা ওবেসিটি-তে আক্রান্ত হলে৷ বেশিক্ষণ বসে বসে কাজ করলে৷ ঘন ঘন রেড মিট খাওয়া, প্যাকেটজাত প্রসেসড খাবার খেলে৷ অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন ও হাই-ক্যালোরির খাবার খেলে অর্শ্ব ও কোলন ক্যান্সার হতে পারে। মলদ্বারের রক্তপাতের মধ্যেও রয়েছে তারতম্য, অর্শ্ব রোগীদের ক্ষেত্রে যে রক্তপাত হয় তা সাধারণত লাল। অপর দিকে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই রক্ত কালচে রঙের হয়। পেট ব্যথাও কোলন ক্যান্সারের অন্যতম মুখ্য একটি উপসর্গ যা সাধারণত অর্শ্বের ক্ষেত্রে দেখা যায় না। সাধারণ মানুষের পক্ষে কোনটি কী তা বুঝে ওঠায় অত্যন্ত কঠিন। তাই এই ধরনের কোনও উপসর্গ অবহেলা করা উচিত নয়। এই ধরনের যেকোনও উপসর্গ দেখা গেলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই উচিত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct