রাজু আনসারী,অরঙ্গাবাদ,আপনজন: ৯ বছরের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র দয়াল নবী ভিক্ষা করেই সংসারের হাল ধরছে। দয়াল নবীর পরিবারের বক্তব্য বিগত কয়েক মাস আগে বাবা রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে গিয়ে অন্য জায়গায় পুরোপুরি আশ্রয় নেয়। তারপর বাড়িতে আর কোনো টাকাও পাঠায় না। তাই ব্যপক অর্থকষ্টে রয়েছে চার ছেলে-মেয়ে। এক ছেলে তো অভাবের তাড়নায় রাস্তার মোড়ে-মোড়ে ভিক্ষা চেয়ে বেড়াচ্ছে। নিদারুণ কষ্টের এই ছবি দেখা গেছে মুর্শিদাবাদের সুতি-২ ব্লকের ধলা রামচন্দ্রপুর এলাকায়। জানাগিয়েছে, কলকাতায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো চার ছেলে-মেয়ের বাবা সাবির সেখ। সেখান থেকে তার পাঠানো টাকাতেই সেই সময় সংসার চলতো। কিন্তু আটমাস আগে সাবির আসাম চলে গিয়ে একটি মেয়ের সাথে সম্পর্ক জড়িয়ে সেখানেই বসবাস শুরু করেদিয়েছে। বাড়িতে আর টাকা পয়সাও পাঠায় না। এখন পরিবারের সঙ্গে আর যোগাযোগও রাখে না। সিম কার্ডও বদলে দিয়েছে। এখন তাই আর
সাবিরকে ফোনও লাগে না। এদিকে মা শুকতারা বিবি চার ছেলে-মেয়েকে নিয়ে পড়েছেন মহাবিপাকে। নিজে বিড়ি বেঁধে কোনোরকমে সংসার চালানোর চেষ্টা করছেন।কিন্তু সামান্য সেই আয়ে সংসার চলছে না। তাই বাধ্য হয়ে নিজের ছোট্ট ছেলে দয়াল ভিক্ষা করছে এবং মেয়ে বিড়ি বাঁধছে। দয়াল নবী (৯) চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন সে পেটের টানে ভিক্ষা চেয়ে সংসার চালাচ্ছে। মা শুকতারা বিবি জানিয়েছেন,পেটের জ্বালায় ছেলেকে ভিক্ষা করতে বেরিয়েছে। এছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।সরকারি ভাবে শুধু রেশনটাই পাই আর কোনো সুবিধা পাই না,যদি সরকারের তরফ থেকে আমাদেরকে সহায়তা করতো তাহলে আমাদের কিছুটা হলেও উপকার হত।আমার ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা শিখে মানুষ হতে পারতো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct