জৈদুল সেখ,কান্দি,আপনজন: আমরা স্কুল যেতে চাই ছাত্রদের কথা চিন্তা করে স্কুল খোলার দাবিতে শিক্ষক, অভিভাবক, পড়ুয়া সকলেই চাইছে এবার স্কুল খুলে দেওয়া হোক। উল্লেখ্য পড়ুয়াদের মনে স্কুলের দিন গুলি ধীরে ধীরে ধূসর বর্ণ হতে হতে যেন মিলিয়ে যেতে বসেছে। ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে বিদ্যালয়ের যে নিবিড় সম্পর্ক তা প্রায় বিছিন্ন হতে বসেছে। ২০২০ মার্চ মাস থেকে ২০২২ জানুয়ারির শেষের দিক বন্ধ স্কুলের দরজা। মাঝে দিন কয়েকের জন্য মাধ্যমিক স্তরের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠনপাঠন চালু হয়েছিল, তবে কোভিডের কারণে তা পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়। ভার্চুয়াল শিক্ষাদান বা পঠনপাঠন কার্যকরী নয় তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়ে গেছে। কিন্তু স্কুলের দরজা কবে খুলবে তা অনিশ্চিত। এইরূপ পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের “পাড়ার শিক্ষালয় “ নামে এক প্রকল্পের ঘোষণা করা হয় তা নিয়ে বির্তক সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষক মহলে। তাই স্কুল খোলার দাবিতে মুর্শিদাবাদ তথা কান্দি মহকুমা জুড়ে প্রতিবাদ সভায় পথে নেমেছে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি, অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটি। স্কুল খোলার দাবি নিয়ে সালারে বিডিও কে ডেপুটেশন দেন এবিপিটিএ। কান্দিতে পথসভা করেন এবং এসডিও কে ডেপুটেশন দেন অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটি। এছাড়াও শুক্রবার সকাল থেকেই স্কুল খোলার দাবিতে পাঁচথুপির মোড়ে নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে পথসভা করা হয়। কান্দি জোনাল সম্পাদক শুকুরুদ্দিন মল্লিক বলেন শুকুরুদ্দিনবাবু বলেন, লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে মেলা , ভোট প্রচার চলতে পারলে শ্রেণী পঠন কেন নয়? তাই অনেক হয়েছে আর নয়, এবার স্কুল মাদ্রাসায় পঠন পাঠন শুরু করতেই হবে। বিপুল চক্রবর্তী বলেন, শিক্ষকের অভাবে বিদ্যালয় গুলোর কঙ্কালসার অবস্থা ,সেদিক থেকে দৃষ্টি ঘোরাতে কোরোনার বাহানা দিয়ে ক্লাস বন্ধ রাখতে চাইছে সরকার। শিক্ষক সুখেন হালদার জানান , সরাসরি স্কুল গুলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুলে দেওয়ায় উচিত হবে রাজ্য সরকারের করোনা সতর্কতা বিধি মেনেই। কারণ পাড়ায় শিক্ষালয় নামে যে কর্মসূচি রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে নেওয়া হয়েছে তা মোটেই কার্যকরী হবে না পড়ুয়া থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা সকলের জন্যই । এই ধরনের প্রকল্পে নানা ধরনের অসঙ্গতি দেখা দেবে । তাই বাচ্চা থেকে সব ধরনের পড়ুয়াদের জন্যই স্কুলগুলি যত দ্রুত সম্ভব খুলে দেওয়া উচিত সরকারি তরফে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct