দেবাশীষ পাল,মানিকচক,আপনজন: প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন নদীর তীরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রতিকৃতি তৈরি করে সবাইকে তাক লাগালো মানিকচকের দুই শিল্পী।এমন প্রতিভা দেখতে মানুষের ভিড়ও পরে চোখে পড়ার মতো। দেশের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতের ধারে বলি দিয়ে প্রতিকৃতি তৈরি বিভিন্ন ভাস্কর্য সকলের সামনে আসে।কিন্তু মানিকচকের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় নদীর ধারে জমা থাকা বালিতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর তৈরি করায় স্থানীয় মানুষজন আপ্লুত। ২৬শে জানুয়ারি সকাল থেকে মানিকচক এর দুই শিল্পী সৌরভ মালাকার এবং শুভঙ্কর দত্ত নিজেদের সরঞ্জাম নিয়ে নুরপুর এর কালিন্দ্রি নদীর চরে তিন ঘন্টা সময়ে প্রায় ৬ ফুট লম্বা ও চার ফুট চওড়া বালির তৈরি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর এর ভাস্কর্য তৈরি করে বুধবার।
শিল্পীদের এমন কাজ রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় সাধারণ মানুষের নজরে আসে।এমন প্রতিকৃতি দেখতে ভিড় জমায় অনেকেই। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস এর ভাস্কর্য দেখতে ছবি তুলেন সেলফি তুলেন পাশাপাশি ধন্যবাদ জানাই এই দুই শিল্পী কে। মানিকচকের এই দুই শিল্পী সৌরভ মালাকার বাড়ি মানিকচকের মথুরাপুরে অপরজন শুভঙ্কর দত্ত বাড়ি ধরমপুর এলাকায়। বিভিন্ন সময় নানা রকম ভাবে তাদের প্রতিভা মানুষের সামনে তুলে ধরেছে এই দুই শিল্পী। তবে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন একটি ভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনা এনে এই ভাস্কর্য তৈরি বলে জানা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দা মুখলেসুর রহমান জানান, আমরা সমুদ্র সৈকতে এই ধরনের ভাস্কর্য দেখেছি তবে বাড়ির পাশে আমরা প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন দেশনায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বালিতে তৈরি ভাস্কর্য দেখে খুব আনন্দিত হয়েছি। এই ধরনের কার্যকলাপ আমাদের এখানেও হতে পারে আমরা ভাবতে পারেনি আমরা ধন্যবাদ জানিয়েছি এই দুই শিল্পীকে।
অন্যদিকে শিল্পী সৌরভ মালাকার জানাই আমরা বিভিন্ন সময় মানিকচক বাসীকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে প্রতিকৃতি চিত্র মূর্তি সহ বিভিন্ন ভাবে প্রতিভা তুলে ধরেছি তবে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন আমরা একটু অন্যরকম চিন্তাভাবনা করি। সমুদ্রসৈকতে যেভাবে ভাস্কর্য তৈরি হয় তাই আমরা আমাদের নদীর চরে আজ নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোসের বালি দিয়ে ভাস্কর্য তৈরি করি। মানুষের ভালই সাড়া পেলাম সবাই দেখতে আসলো ছবি ও সেলফি তুলেছে খুব ভালো লাগছে এই ধরনের কাজ করে আমাদের।