আপনজন ডেস্ক: সচেতনতার অভাবে প্রাথমিক দাঁত বা শিশুর দুধদাঁত অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুধদাঁতের স্থায়িত্বকাল অল্প হলেও এগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। সাধারনত শিশুর নিচের মাড়ির সামনের দিকে ৫ থেকে ৬ মাস বয়সে দাঁত আসে। আর ওপরের মাড়ির সামনের দিকে দাঁত আসে ৭ থেকে ১০ মাস বয়সে। এর পর ধীরে ধীরে বাকি দুধ দাঁত শিশুর মুখে আসে। তবে সঠিক সময়ে দাঁত ওঠার জন্য শিশুকে বিভিন্ন ধরনের খাবার চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করাতে হবে। এসময় থেকেই শিশুদের দাঁতের যত্ন প্রয়োজন।
১. শিশুর মুখে যখন প্রথম দাঁত আসে তখন শিশুরা হাতের কাছে যা পায় তাই কামড়ে দিতে চায়। এসময় থেকেই নরম বেবি টুথ ব্রাশ দিয়ে সতর্কতার সঙ্গে দাঁত ও জিহ্বা পরিষ্কার করতে হবে। বেবি টুথ পেস্ট না পেলে বা খেয়ে ফেলার আশঙ্কা থাকলে পেস্ট না দিয়ে শুধু জল দিয়ে ভিজিয়ে আলতো করে দাঁতগুলো পরিষ্কার করে দিতে হবে। দাঁতের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বুকের দুধের বিকল্প নেই।
২. শিশুর বয়স ১বছর ৬ মাস হওয়ার পর থেকেই তাকে থুথু ফেলা বা কুলি করা শেখাতে শুরু করুন। এই সময় বাচ্চাদের উপযোগী ফ্লোরাইডযুক্ত টুথপেস্ট দেয়া যেতে পারে। টুথ ব্রাশে একেবারে সামান্য পরিমাণে টুথপেস্ট লাগিয়ে আস্তে আস্তে ব্রাশ করিয়ে দিতে হবে।
৩. দুধদাঁত গুলোর মাঝে খুব সহজেই আটকে যায়। এরফলে খাবারগুলো জমে জমে ক্যাভিটি বা গর্ত তৈরি করতে পারে। তাই দুই দাঁতের মাঝে আটকে থাকা খাবার নিয়মিত ফ্লসিং করতে হবে। কোনো ক্ষত দেখলে দ্রুত দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
৪. দাঁতের যত্নে শিশুর খাদ্যাভ্যাসও গুরুত্বপূর্ণ। চিনি, কৃত্রিম জুস, মিষ্টি, চকলেট, আইসক্রিম দন্তের খুব ক্ষতি করে। দাঁত ভালো রাখতে তাজা ফলের জুস, শাকসবজি, ডিম, দুধ, মাছ-মাংস খাওয়াতে হবে শিশুকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct