আপনজন ডেস্ক: ইসরাইলিরা ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনি গ্রাম তানতুরায় গণহত্যা চালিয়েছে। ওই গণহত্যার তদন্তের জন্য আন্তর্জাতিক কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। ওই হামলায় কমপক্ষে ২০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করে ইহুদিরা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। বৃহস্পতিবার ইসরাইলের দৈনিক হারেটজ রিপোর্ট করেছে যে, তানতুরায় যেসব ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছিল ১৯৪৮ সালে, তাদের একটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই বছর আধুনিক ইসরাইল রাষ্ট্র গঠন করা হয়েছিল। ফিলিস্তিনিদেরকে তাদের ভূমি ও বাড়িঘর ছাড়া করতে গণহত্যা চালিয়েছিল ইসরাইল। এতে কমপক্ষে সাড়ে সাত লাখ ফিলিস্তিনিকে তাদের বাড়িঘর ও ভূমি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করে তারা। এই ট্রাজেডিকে ফিলিস্তিনিরা নাকবা বা আকস্মিক বিপর্যয় হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে। এ ঘোষণার পর ফিলিস্তিনিরা তদন্ত কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ১৯৪৮ সালে যে দখলদারিত্ব শুরু হয়েছিল, তা বন্ধ হয়নি। এখনও বর্ণবাদ ও ঘৃণা নিয়ে তার বিস্তার অব্যাহত আছে। এ জন্য এমন অপরাধের তদন্ত করার আহ্বান জানায় ফিলিস্তিন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, এখন যা প্রয়োজন, তা হলো- ফিলিস্তিনি ভিকটিমদের জন্য ন্যায়বিচারের জন্য ব্যাপকভিত্তিক আন্তর্জাতিক উদ্যোগ গ্রহণ। ইসরাইলি কর্মকর্তাদের শাস্তি দিতে হবে। শাস্তির আওতায় আনতে হবে ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের, যারা এখনও এসব অপরাধ ও গণহত্যার অভিযোগকে বাতিল করে দিয়ে তা ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হারেটজ রিপোর্ট করেছে যে, ১৯৪৮ সালে তানতুরা গ্রামে যে লড়াই করেছিল ইসরাইলি কর্মকর্তারা তাদেরকে আরবদের গণহত্যার অভিযোগ থেকে মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। একই পত্রিকা আগামী সপ্তাহে তানতুরা শিরোনামে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রকাশ করার কথা জানিয়েছে। এতে ওই গণহত্যায় অংশ নেয়া ইসরাইলি সেনাদের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। হারেটজ বলেছে, ডোর বিচ পার্কিং এলাকায় কমপক্ষে ২০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যার পর গণকবর দেয়া হয় তাদের। ওই বছর ২২ ও ২৩শে মে রাতে এই গণহত্যা চালানো হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct