আপনজন ডেস্ক: স্নানের সময় কানে জল ঢুকে গেলে জটিলতা দেখা দিতে পারে। এসব ক্ষেত্রে অনেক সময় কানের পর্দা ফুটো হয়ে যায়। আবার কোনো কোনো সময় কানে পুঁজ হয়। আবার কিছু ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিল কিছু রোগের কারণেও কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে বা কান দিয়ে পুঁজ ও জল পড়তে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুদের কানের ইনফেকশন বা সর্দি-কাশি যাকে আমরা সাধারণ ভাষায় কমন কোল্ড বলে থাকি তা থেকে কানে সমস্যা হয়ে থাকে। এমন কোনো বাচ্চা নেই, যার জীবনে কোনো না কোনো সময় একবারও কানের ইনফেকশন হয়নি। বেশিরভাগ সময় সুষ্ঠু চিকিৎসার মাধ্যমে এ ইনফেকশনের সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। যদি এ ইনফেকশনের সুষ্ঠু চিকিৎসা না হয় বা পর্যাপ্ত চিকিৎসা না হয়, তা হলে ইনফেকশন থেকে কানের পর্দা ফেটে যেতে পারে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন নাক-কান ও গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. জাহির আল-আমিন। যেসব বাচ্চা এডিনয়েড গ্রন্থির প্রদাহে অনেক দিন ধরে ভোগে বা যেসব বাচ্চার এডেনয়েড গ্রন্থি বড় হয়ে যায়, তাদের কানের সমস্যা আরও বেশি হয়ে থাকে। ঘনঘন কানের ইনফেকশন থেকে কানের পর্দা ফেটে যায়। অনেক সময় টনসিল, নাক বা সাইনাসের ইনফেকশন ঘন ঘন হতে থাকলে বা সবসময় নাক বন্ধ থাকলেও কানের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। পর্দা ফাটা থাকলে অবশ্যই কান শুকনা রাখতে হবে। কানের ভেতর যেন জল না যায়। স্নান করার সময় তুলাতে তেল দিয়ে ভিজিয়ে তারপর তুলা চিপে কানে দিয়ে স্নান করতে হবে। কোনো সময়ই জলের নীচে সাঁতার কাটা যাবে না বা জলে ঝাঁপ দেওয়া যাবে না। কানে ইনফেকশন থাকলে কানটি ঠিকমতো পরিষ্কার করা দরকার এবং তারপর কানে অ্যান্টিবায়োটিক ড্রপ দিতে হয়। কান পরিষ্কার করা জরুরি এবং অনেক ক্ষেত্রেই বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে এটি করার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কদাচিৎ ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেতে হবে বা ইনজেকশন দেওয়া লাগতে পারে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct