ন্যাশনাল প্ল্যানিং কমিশন কেন্দ্র তুলে দিলেও চালু হবে পশ্চিমবঙ্গ প্ল্যানিং কমিশন, ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
আপনজন ডেস্ক: রবিবার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চরম সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ করে বাংলার নেতাজি ট্যাবলো প্রজতন্ত্র দিবেস কেন্দ্রীয় সরকার বাতিল করে দেওয়ায় নেতাজি প্রসঙ্গ টেনে তিনি নিশানা করেন। এদিন কলকাাত ময়দানে নেতাজি মূর্তির পাদদেশে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে নেতাজির জন্মক্ষণে বেজে ওঠে সাইরেন। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী নিজেও শঙ্খ বাজান। তারপরেই তিনি ভাষণ দিতে শুরু করেন। মুখ্যমন্ত্রী ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর একটি মূর্তি স্থাপন কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত চাপের মুখে করতে বাধ্য বলে উল্লেখ করে। সেই সঙ্গে তার ব্কতৃতার আদ্যোপান্ত উঠে আসে রাজ্যের ট্যাবলোকে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অন্তর্ভুক্ত না করার বিষয়টি। মমতা প্রশ্ন তোলেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রতি কেন এই ধরনের এত অবহেলা। পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাস মুছে ফেলার সাহস কারও নেই, আমি তাকে চ্যালেঞ্জ করতে পারি। কেউ দেশের আসল ইতিহাস পরিবর্তন করতে পারে না। যদি কেউ তা করে তবে তারা আগুন নিয়ে খেলবে।
ভাষণের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন অমর জওয়ান জ্যোতিকে জাতীয় যুদ্ধ স্মারকের সাথে একীভূত করার বিষয়গুলি উত্থাপন করেন। এ িনয়ে বলেন, কেবল মাত্র নেতাজীর মূর্তি স্থাপনই যথেষ্ট নয়। এত বছরে নেতাজীর মৃত্যু সম্পর্কে কোনও স্পষ্টতা নেই। আমরা কি তার মৃত্যুর তারিখ লিখতে সক্ষম হব? মূর্তিতে তো নেতাজী জন্ম দিবস লেখা যেতে পারে। ‘মুখ্যমন্ত্রী দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে পশ্চিমবঙ্গের অবদানের ওপর জোর দিয়ে বলেন, দেশে এমন কিছু শক্তি রয়েছে যারা ধর্ম নিয়ে, হিন্দু ও মুসলমানদের উপর দেশকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি তাঁদের মহাত্মা গান্ধী, স্বামী বিবেকানন্দ ও নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু সম্পর্কে জানার অনুরোধ করছি। এই ব্যক্তিত্বদের কেউই কখনও দেশকে বিভক্ত করার কথা বলেননি। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নেতাজীর মস্তিষ্কপ্রসূত ন্যাশনাল প্ল্যানিং কমিশন কেন্দ্রীয় সরকারে বাতিল করা লজ্জার বিষয়। তাই তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে একটি প্ল্যানিং কমিশন হবে। আর পশ্চিমবঙ্গের ট্যাবলোটি দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে জায়গা পায়নি তবে অবশ্যই কলকাতার রেড রোডে উদযাপনে অংশ নেবে। মুখ্যমন্ত্রীর বেশ কয়েকটি ঘোষণায় নেতাজি এবং আজাদ হিন্দ মনুমেন্টের নামে একটি ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ দুটি বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: