আপনজন ডেস্ক: চিনাবাদামের পুষ্টিগুণ অনেক। চিনাবাদাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ যা আপনাকে হৃদরোগ, ক্যান্সার, এছাড়া আরও বেশ কিছু রোগ থেকে দূরে রাখবে। প্রতিদিন একমুঠো বা ৩০ গ্রাম বাদাম ওজন কমায়, হৃদ্রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায় ও রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে।
চিনাবাদামের গায়ে লেগে থাকা লাল আবরণ। এটাকে অনেকেই চিনাবাদামের ত্বক বলে থাকেন, আবার অনেকে পাতলা খোসাও বলে থাকেন। চিনাবাদামে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে তার বেশির ভাগই পাওয়া যায় এই লালচে আবরণ থেকে। চিনাবাদামের লালচে আবরণে আনস্যাচুরেটেড এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট নামের দুই ধরনের চর্বি বা স্নেহ জাতীয় পদার্থ রয়েছে, যা কোলেস্টেরল কমায়। চিনাবাদামকে অনেকেই মস্তিষ্কের খাবার বলে থাকে। চিনাবাদাম রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সকালে চিনাবাদাম বা চিনাবাদামের মাখন খেলে প্রায় পুরো দিনই রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত চিনাবাদাম খেলে ক্যানসার ও হৃদ্রোগে অকালমৃত্যুর ঝুঁকি কমে।
চিনাবাদামের লালচে আবরণ প্রোসিয়ানিডিন, ক্যাটেকিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। পিনাট বাটার কিংবা অন্যান্য খাবার তৈরিতে যেখানে চিনাবাদাম ব্যবহার করা হয় সেখান থেকে প্রাপ্ত লালচে আবরণগুলো পশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া এতে বিভিন্ন ভিটামিনজাতীয় পদার্থ যেমন থায়ামিন, রিবোফ্লোবিন, নিয়াসিন, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড, ভিটামিন বি-৬ ও ফোলেট রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। পাশাপাশি এতে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ ক্যালসিয়াম, লোহা, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও দস্তা রয়েছে। নিয়মিত চিনাবাদাম খান। খোলসের ভেতর থেকে দানা বার করে পাতলা লালচে খোসাটা ফুঁ দিয়ে না উড়িয়ে ওটা সমেত মুখে পুরে দিন। লাভ ছাড়া লোকসান হবে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct