মঞ্জুর মোল্লা,নদিয়া,আপনজন: গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় শুয়ে আছেন হাসপাতালে। টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না। কোচবিহার জেলা থেকে একজন মাদ্রাসার শিক্ষক মাদ্রাসার জন্য টাকা আদায় করতে আসেন। বাড়ি ফেরার পথে অটো চরে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটো উল্টিয়ে গুরুতর জখম ওই মাদ্রাসার শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়া জেলার ভারত-বাংলাদেশ চাপড়া থানার হাতিশালা এলাকায়। অটোয় করে বাড়ি ফেরার উদ্যেশ্যে আসছিলেন সেই সময় হাতিশালা ও মহেশ নগর এর মাঝামাঝি ফাঁকা মাঠে একটি বাচ্চাকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে পড়ে যায় অটো। গুরুতর জখম অবস্থায় দুজন ব্যক্তিকে এলাকার লোকজন উদ্ধার করে চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে আসেন।অ কর্মরত চিকিৎসকের আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। একজনের নাম নজরুল শেখ বয়স ৩০ মাদ্রাসার ওই শিক্ষকের নাম জিয়ারুল হক (৩২) বাড়ি কোচবিহার দিনহাটা থানা এলাকায়। চিকিৎসার জন্য দীর্ঘক্ষণ চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতাল বেডে শুয়ে আছে। টাকা পয়সা না থাকার কারণে অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা বাবদ টাকা ওই মাদ্রাসার শিক্ষকের কাছে না থাকায় দীর্ঘক্ষণ বেডে শুয়ে থাকতে হয়। অবশেষে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বিশিষ্ট সমাজসেবক জেবের শেখ। নিজে ওই মাদ্রাসার শিক্ষককে অ্যাম্বুলেন্সে ভাড়া করে এবং ওই অসুস্থ শিক্ষকের সঙ্গে একজনকে টাকা দিয়ে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান। কোভির মহামারীর পরিস্থিতির মধ্যে অসহায় পরিবারের কখনো খাবার, ওষুধ, বাচ্চাদের দুধ থেকে শুরু করে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা গেছে তাকে। অর্থের অভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের মৃতদেহ সৎকার করার জন্য পৌঁছে গেছেন শ্মশানে। নদীয়া জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চাপড়া থানার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দরিদ্রসীমার নিচে বসবাস করে এখানে অধিকাংশ পরিবারের কৃষিজীবীর উপর নির্ভরশীল। জেবের সেখ জানান, আমাকে হাসপাতালে থেকে একজন ফোন করছি টাকা অভাবে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যেতে পারছিনা আমার মোবাইল ফোন এক জনের কাজে ছিল আমি সেই সময় নামাজ পড়তে গিয়েছিলাম। শোনা মাত্র মসজিদ থেকে হাসপাতালে এসে পৌঁছাই। আহত ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আমার কাছ থেকেও তিনি মাদ্রাসার জন্য আর্থিক সাহায্য নিয়ে গেছে এবং উনি আমার নাম্বারটা মনে রেখেছিল হাসপাতালেই কাউকে দিয়ে উনি আমাকে ফোন করেছিলেন। শোনা মাত্রই আমি নিজে অ্যাম্বুলেন্স এবং আমার ভাইকে টাকা পয়সা দিয়ে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে ততক্ষণ পর্যন্ত মাদ্রাসা শিক্ষকের পরিবারের লোকজন অথবা আমার ভাইপো হাসপাতালে থাকবে। দুজনের সমস্ত চিকিৎসা খরচ ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকার অসহায় পরিবারের পাশে সব সময় আছি সব সময় থাকবো যতদিন বেঁচে আছি মানুষকে সেবা করাই আমার লক্ষ্য।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct