আপনজন ডেস্ক: সৌদি আরবের যুদ্ধবিমানগুলো ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ কয়েকটি শহরে ভয়াবহ বোমা হামলা চালিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবির গভীর অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে ইয়েমেনে হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলন সমর্থিত সামরিক বাহিনী হামলা চালানোর পর সৌদি আরব এই বোমাবর্ষণ করল।
ইয়েমেনের ওপর চাপিয়ে দেয়া দীর্ঘ যুদ্ধে সংযুক্ত আরব আমিরাত সৌদি জোটে সক্রিয় ভূমিকা রাখার প্রতিশোধ হিসেবে আবুধাবির কৌশলগত কয়েকটি স্থাপনায় হামলা চালায় ইয়েমেনি সেনারা। ইয়েমেনের আল-মাসিরা টেলিভিশন চ্যানেল জানিয়েছে, গতকাল সোমবার রাজধানী সানার মাইন জেলার লিব্বি এলাকায় সৌদি বিমান থেকে বোমাবর্ষণে অন্তত ১২ জন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়। আল-মাসিরা টেলিভিশনের রিপোর্টার সানা থেকে জানিয়েছেন, সৌদি হামলায় আরো পাঁচটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া লোকজনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। রাজধানী সানার সেপ্টেম্বর ১১ নামের একটি পার্কেও সৌদি বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করা হয়েছে।
আল-মাসিরা টেলিভিশন জানিয়েছে, ২৪ ঘন্টায় সৌদি আরব ইয়েমেনের মধ্যাঞ্চলীয় মারিব প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে ৫০টিরও বেশি অভিযান চালিয়েছে। এই প্রদেশের আল-ওয়াদি, জুবাহ এবং হারিব এলাকায় ৩১ বার বিমান হামলা চালায়। অন্যদিকে, শাবওয়া প্রদেশের আইন এলাকায় আটবার বিমান হামলা চালিয়েছে সৌদি আরব। এছাড়া, সাত দফা বিমান হামলা চালিয়েছে বাইদার প্রদেশের সাওমা এলাকায়।
ইয়েমেনের উত্তরাঞ্চলীয় জাওফ প্রদেশ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় তায়িজ প্রদেশে দুই দফা করে বিমান হামলা চালানো হয়। হুদাইদা বন্দরনগরীর আল-জাররাহি এবং উত্তরাঞ্চলীয় হাজ্জা প্রদেশের হাজারা এলাকায়ও সৌদি আরব বিমান হামলা চালিয়েছে।
২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে সৌদি আরব তার কয়েকটি আরবমিত্র দেশকে সঙ্গে নিয়ে দারিদ্র্যপীড়িত ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে। এই অভিযানে সংযুক্ত আরব আমিরাত সব সময় ভূমিকা রেখে চলেছে, এমনকি ইয়েমেনের ভেতরে ভাড়াটে গেরিলা পাঠিয়েছে আমিরাত। গতকালের হামলার আগে আরব আমিরাতকে সতর্কবার্তা দিয়েছিল ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী।স্বাভাবিকভাবেই সংসারের পরিধি বাড়ানোর আগ্রহ নেই তাদের। এ জন্য জন্মহার সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে এসেছে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে, ২০২১ সালে জন্মহার যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে, তা ১৯৪৯ সালের পর সর্বনিম্ন। ওই বছর এ বিষয়ে ডাটা রাখা শুরু করে এ ব্যুরো। এতে বলা হয়, অভিবাসী বাদে চীনের জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধি ২০২১ সালে ছিল শতকরা মাত্র ০.০৩৪ ভাগ। ১৯৬০ সালের পর এ হারও সর্বনিম্ন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct