আপনজন ডেস্ক: ধর্ম সংসদের আদলে এবার রবিবার ‘প্রতিকার সভা’ (প্রতিশোধ সভা) অনুষ্ঠিত হল হরিদ্বারে। আর সেখানে ডাক দেওয়া হল ইসলামকে খতম করার। হরিদ্বারে ধর্ম সংসদে মুসলিমদের হত্যার করার ডাক দেওয়ায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন যতি নরসিংহানন্দ। কিন্তু তার সমর্থনে হরিদ্বারের স্বামী সর্বানন্দ ঘাটে ‘প্রতিকার সভা’ য় আলিগড়ের বিজেপি বিধায়কের উপস্থিতিতে এবার ইসলামকে খতম করার আহ্বান জানানো হল। রবিবারের প্রতিকার সভায় (প্রতিশোধ সভা) যারা উপস্থিত ছিলেন তারা যতি নরসিংহানন্দ ও জিতেন্দ্র নারায়ণ ত্যাগীর পক্ষে সওয়াল করেন। এ নিয়ে তারা বলেন, এদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ কর্মকর্তা ও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেছিলেন। নিরঞ্জনী আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর পূজা শকুন পাণ্ডে (ওরফে অন্নপূর্ণা ভারতী) ঘোষণা করেন যে ২২-২৩ জানুয়ারি আলিগড়ে আরেকটি ধর্ম সংসদ অনুষ্ঠিত হবে। যদিও হরিদ্বারের এই প্রতিকার সভায় উপস্থিত ছিলেন আলিগড়ের বর্তমান বিধায়ক অনিল পরাশরও। তিনি আসন্ন উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আলিগড় থেকে বিজেপি প্রার্থী।হরিদ্বারের অনুষ্ঠানে মুসলিমদের হত্যার আহ্বা জানানো চরমপন্থী নেতাদের অন্যতম স্বামী আনন্দ স্বরূপ নরসিংহাননন্দ ও জিতেন্দ্র ত্যাগীর মুক্তির দাবিতে অনশনে বসেছিলেন। যে সব পুরোহিত ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব প্রতিকার সভায় যোগ দেননি তাদেরকে ‘কাপুরুষ’ ও ‘নপুংসক’ বলে অভিহিত করেন। স্বামী আনন্দ স্বরূপ সর্বানন্দ ঘাটে শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ভারত বিভাজনের পর ভারতে ইসলামের বিশ্বাসীদের কী অধিকার থাকতে হবে? তাদের নিজস্ব ইসলামিক প্রজাতন্ত্র পাকিস্তান রয়েছে।’স্বামী আনন্দ স্বরূপ আরও বলেন, ইসলাম শেষ’ না হওয়া পর্যন্ত ধর্ম সংসদ থামবে না। তিনি উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামিকে ধর্মসংসদ-এর পরে ‘পুরোহিতদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের’ করার জন্য হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইসলামিক জেহাদিদের এবং মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থনকারীদের জিহাদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত, আমাদের ত্রিশূল (ত্রিশূল) এগিয়ে যেতে থাকবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct