অমরজিৎ সিংহ রায়,বালুরঘাট,আপনজন: নিয়মিত মাস মাইনের দাবিতে পুর প্রশাসকের কাছে ডেপুটেশন কর্মসূচিতে শামিল হলেন শিক্ষিকারা। সোমবার বালুরঘাট পুরসভার অন্তর্গত বিভিন্ন শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের (এসএসকে) কর্মীরা সম্মিলিতভাবে পুরপ্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে নিজেদের দাবি দাবি তুলে ধরেন।
জানাগিয়েছে, বালুরঘাট পুরসভার আওতায় রয়েছে প্রায় ১১০ টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। এই সমস্ত শিশু শিক্ষা কেন্দ্র গুলোতে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৩০০ জন কর্মী। অভিযোগ, প্রথমদিকে তাঁরা নিয়মিত তাদের মাস মাইনে পেতেন। কিন্তু পরবর্তীতে বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন পুরসভার দায়িত্বভার নেয়ার পর থেকেই তাদের বেতন অনিয়মিত হয়ে পরে।পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে পুরো প্রশাসক পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার ফলে ও তাদের বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অন্যদিকে, নিয়মিত মাস মাইনে না পাওয়ার ফলে সংসার চালাতে তাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তাই তাঁদের সমস্যা সমাধানের জন্য এদিন পুরো প্রশাসকের কাছে লিখিত ডেপুটেশন দেন শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের কর্মীরা।
এবিষয়ে এসএসকে টাউন তৃণমূল প্রেসিডেন্ট অর্পিতা মুখার্জি জানান, আমরা পুরসভা দ্বারা পরিচালিত ১১০ টি স্কুলের ৩০০ জন শিক্ষিকা রয়েছি। আমাদের ভবিষ্যত নির্ভর করে পুরসভার ওপরে।বেতন থেকে শুরু করে মিড-ডে-মিল সমস্তকিছুই পুরসভা দেখভাল করেন। ২০১৭ সালে আমরা কর্মে যোগদান করি। যতদিন তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড ছিল ততদিন আমাদের বেতনের কোন সমস্যা হয়নি। কিন্তু বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর হাতে পুরসভা পরিচালনার দায়িত্ব যাওয়ার পর থেকে আমরা লক্ষ্য করেছি প্রতি মাসেই আমাদের অনিয়মিত বেতন হচ্ছে। কখনো দু-মাস অন্তর বেতন পাচ্ছি তো কখনো তিন মাস অন্তর বেতন মিলেছে। বিগত ২-৩ বছর ধরে এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি আমরা। নানা সময় পুর প্রশাসক চেঞ্জ হচ্ছেন। তাঁদের কাছে আমরা বারবার জানাচ্ছি বিষয়টি। তারাও আমাদের হয়ে নানা জায়গায় আমাদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন।কিন্তু এই মাসে এখনো পর্যন্ত আমাদের এই সমস্যার কোনরূপ সমাধান হয়নি। অথচ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত যে সমস্ত কর্মী রয়েছেন তাঁরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন । তাদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। এবং অন্যান্য জায়গাতেও কর্মীদের বেতন আটকে নেই । এইরূপ করোনা পরিস্থিতি যদি আমাদের প্রতি মাসে বেতন আটকে রাখা হয় তাহলে আমাদের বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হব।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct