আপনজন ডেস্ক: নিজেকে এগিয়ে নেয়ার জন্য বা বড় কোন কাজ করার জন্য যতটা শারীরিক শক্তির প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন মানসিক শক্তির। মানুষ সাধারণত তখনই হাল ছেড়ে দেয় যখন তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে অক্ষম হয়ে পড়ে। বর্তমানে সময়ে সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আমাদের মধ্যে অনেকে ভেঙে পড়েন। কিন্তু একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে কারো জীবন মসৃণ নয় এর মধ্যে লড়াই করে বেঁচে থাকতে হবে।তবে মানসিকভাবে শক্ত থাকতে চাইলে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
১. ইতিবাচক ও নেতিবাচক চিন্তা: একজন সুস্থ মানুষের মাথায় দিন কয়েক হাজার চিন্তাধারা আসে। তার মধ্যে কিছু ইতিবাচক তো কিছু অবশই নেতিবাচক। দুই ধরণের চিন্তাই মনের উপর অনেক প্রভাব ফেলে। তবে নেতিবাচকের থেকে ইতিবাচক চিন্তায় বেশি আসে। ইতিবাচক চিন্তা করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।কারণ, যখন তুমি ভালো কিছু চিন্তা করবে, বিশ্বাস করবে যে ভালোকিছু হবে, তখন দেখবে সত্যিই ভালো অনেক কিছুই ঘটছে।
২. নতুন লক্ষ্য ঠিক করা: আমরা সকলেই কান্না, রাগ ও উদ্বেগের মাধ্যমে নেতিবাচক পরিস্থিতির মোকাবিলা করে থাকি। এজন্য ইতিবাচকভাবে সব পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে। জীবনে এগিয়ে যেতে কী করবেন সে বিষয়ে নতুন লক্ষ্য ঠিক করুন।
৩. দায়িত্ব নেওয়া: মানসিকভাবে শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমান মানুষ কখনোই সব দায়িত্ব গ্রহণ করে না। কারণ কোন একটি দায়িত্ব নিয়ে তা শেষ করতে না পারলে তা মানসিকভাবে অনেক যন্ত্রণা দিতে পারে। তাই দায়িত্ব নেয়ার আগে নিজের ক্ষমতা বুঝে দায়িত্ব নেয়া উচিত। আর যেই কাজ তোমার পক্ষে করা সম্ভব নয় অথবা তোমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে তা স্বীকার করে নাও, এতে মানসিকভাবে অনেক শান্তি পাবে।
৪. অপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে বিরত থাকা: সবকিছুই তোমার হবে, সবকিছু তোমাকে পেতে হবে, সব কাজ তোমাকেই করতে হবে এমন চিন্তা থেকে দশ হাত দূরে থাকা দরকার। কারণ অপ্রয়োজনীয় জিনিস পেতে গিয়ে শুধু শুধু মানসিক অশান্তি বাড়বে। একজন মানসিকভাবে শক্তিশালী মানুষ কখনোই সবকিছু পেতে চায় না, তারা যে জিনিসটি তার কাছে আছে তাতেই সন্তুষ্ট থাকরা চেষ্টা করেন।
৫. অন্যের সফলতা দেখে ক্ষুব্ধ হওয়া: অন্যের সফলতা দেখে ক্ষুব্ধ হলে তোমার নিজেরই মানসিক অশান্তি বাড়বে। শুধু তাই নয় এক সময় দেখবে যে এটা তোমার নিজের লক্ষ্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অন্যদের নিয়ে চিন্তা করা, তাদের সফলতা দেখে ক্ষুব্ধ হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। নিজের উপর ভরসা রেখে, বিশ্বাস রেখে নিজের কাজগুলো মনোযোগ দিয়ে করতে হবে।
৬. অতীত নিয়ে ভাবা: অতীত প্রতিটি মানুষের জীবনেই আছে। অতীতে যা ঘটে গেছে তা চাইলেও কেউ কখনো বদলাতে পারবে না। তাই অতীত নিয়ে বেশি চিন্তা করে মানসিক অশান্তি বাড়িয়ে, বর্তমান সময়টাকে নষ্ট করার মন মানেই হয় না। মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হলে অতীত নিয়ে ভাবা বাদ দিয়ে বর্তমান সময়টাকে নিয়ে বেশি চিন্তা করতে হবে। বর্তমান সময়টাকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে জীবনে পরিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাওয়া যায় সে চিন্তায় বেশি করে করা দরকার।
৭. আবেগের সঙ্গে যুক্তির ভারসাম্য: আমাদের সবার মধ্যেই আবেগ আছে। কথায় আছে আবেগপ্রবণ হওয়া ভালো কিন্তু অতিরিক্ত আবেগ কখনোই ভালো না। আবেগ সবসময়ই মানুষের চিন্তা-ভাবনাকে প্রভাবিত করে। তাই আবেগের সঙ্গে যুক্তির ভারসাম্য থাকা জরুরি। এতে মানসিকভাবে অনেক শক্তি পাওয়া যায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct