রাজু আনসারী,অরঙ্গাবাদ,আপনজন: বাবার মৃত্যু হয়েছে পাঁচ বছর আগে। মায়েরও মৃত্যুও প্রায় বছর দশেক আগে। ফলে এক ভাই এবং বোন অসহায় ও নিরুপায় হয়ে জীবন কাটাচ্ছেন। আধার কার্ড থাকলেও নেই খাদ্য সাথী কিংবা রেশন কার্ড। ফলে হাজার হাজার মানুষ রেশন পেলেও এখনও রেশন থেকে বঞ্চিত মুর্শিদাবাদের সুতি থানার অরঙ্গাবাদ-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোমিনপাড়া গ্রামের এতিম অসীলা খাতুন এবং হাসান মোমিন। এখনও মেলেনি কোনো সরকারি সাহায্য। ফলে কোনোরকম সাহায্য ছাড়াই বিড়ি বেঁধে জীবন অতিবাহিত করছেন অসীলা খাতুন এবং হাসান মোমিন।
জানা গিয়েছে, মোমিনপাড়া গ্রামের পেশায় বিড়ি শ্রমিক সেনতাজ মোমিন ওরফে সেনু এবং মর্জিনা বিবির দুই সন্তান অসীলা খাতুন এবং হাসান মোমিন। বছর পাঁচেক আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান সেনতাজ মোমিন। অন্যদিকে বছর দশেক আগে দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরন করেন মর্জিনা বিবি। ফলে অসহায় হয়ে যান বাড়ির দুই সন্তান। কোনরকমে পার্শ্ব বতি কাকা খালেক মোমিন ও প্রতিবেশীদের সাহায্য নিয়েই সংসার যাপন করছিলেন তারা। কিন্তু অসিলার বয়স ১৮ এবং হাসানের বয়স ১৬ হলেও এখনও পর্যন্ত মেলেনি তাদের রেশন কার্ড। ফলে পাচ্ছেন না কোনো সরকারি সাহায্য। পাচ্ছেন না রেশন সামগ্রীও। সরকারী ঘর না মেলায় ভাঙাচোরা টালির বাড়িতেই বসবাস করতে হচ্ছে তাদের। অবিলম্বে সরকারি সাহায্যের দাবি জানিয়েছেন তারা।
প্রতিবেশী খালেক মোমিন, মিনা বিবিরা জানান, ছোট থেকেই আমরাই দেখাশোনা করছি। খুব অসহায় ছেলে মেয়ে দুটো। নিজেরাই রান্না বান্না করে এভাবে সংসার যাপন করছেন। লকডাউনে চরম সমস্যায় পড়লেও মেলেনি কোনো সরকারি সাহায্য। বারবার প্রশাসনের দরবার করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। এদিকে সরকারি সাহায্য ছাড়াই ভাঙা চালের তলায় বসবাস করতে গিয়ে কার্যত চোখে জল এসেছে অসীলা খাতুনের। অসীলা জানান, বাবা মা মারা যাবার পর আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। নিজেরাই বিড়ি বেঁধে সংসার চালাচ্ছে। ডাল আটা সবকিছু কিনে খেতে হচ্ছে। কারো কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। এদিন অসীলা সরকারী সাহায্যের আবেদন জানান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct