আপনজন ডেস্ক: আতা ফল আমরা সবাই চিনি।তবে একদমই ভাববেন না যে আতাফল একমাত্র আঁতেলরা খায়। হ্যাঁ বাজারে এই ফলের দাম বেশি, কিন্তু এর পুষ্টিগুণ অনেক। এই ফলের ভিতরে থাকে ছোট ছোট কোষ। প্রতিটি কোষের ভেতরে থাকে একটি করে বীজ, বীজকে ঘিরে থাকা নরম ও রসালো অংশই খেতে হয়। পাকা ফলের বীজ কালো এবং কাচা ফলের বীজ সাদা। এই ফলের মধ্যে অসংখ্য বীজ থাকে যেই বীজগুলো কিন্তু বিষাক্ত। আতা অনেকের প্রিয় ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান। যা আপনার শরীরের বিভিন্ন রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে থাকে।
১. আপনি যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন, তাহলে আপনি নিঃসন্দেহে আতা খেতে পারেন। কারণ এর মধ্যে বিশেষ একধরনের ফাইবার আছে যা চিনির শোষণ কমিয়ে দেয়। এছাড়াও রক্তের গ্লুকোজ মাত্রা কমাতে সাহায্য করে আতা।
২. আতা ফলের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম যা আপনার কার্ডিয়াক সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে এতে থাকা ভিটামিন বি-৬ হোমোকিসস্টাইন নিয়ন্ত্রণ করে।
৩. আপনি যদি শরীরে পিত্ত জনিত সমস্যার কারণে শরীরের জ্বালা অনুভব করেন তবে আতা ফলের শাঁস এর রস আপনার জন্য খুব উপকারী। সেই সময়ে আপনি যদি পাকা আতার রস ২ থেকে ৩ চা চামচ পান করেন তাহলে আপনার শরীরের জ্বালা কমে আসবে।
৪. গবেষকদের মতে, আতা ফলের বীজ ক্ষত শুকাতে সাহায্য করে। এই ফলের বীজে এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রোপার্টি রয়েছে।
৫. আতা ফলের মধ্যে থাকে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আপনার মধ্যে যদি সর্দি লাগার প্রবণতা থাকে তাহলে আপনি কিন্তু আতা ফল খেতে পারেন। এছাড়া আতা ফল প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে।
৬. এক গবেষণায় দেখা গেছে, আতা গাছের পাতার নির্যাস স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। স্তনের কোষে থাকা বিষাক্ত টক্সিন দূর করে। এছাড়া অ্যান্টি-অক্সিডেন্টপূর্ণ আতা ফল আপনার শরীরের কোষগুলোকে বিভিন্ন ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে।
৭. আপনার শরীরে যদি হিমোগ্লোবিনের মাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কম থাকে তাহলে আপনি আতা ফল খেতে পারেন। এটি যেমন হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে তেমনি আতাফল আলসার ও এসিডিটি প্রতিরোধ করে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct