মঞ্জুর মোল্লা,নদিয়া,আপনজন: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তারই অন্যতম মকর সংক্রান্তি। এইসব উৎসবে আবেগের সাথে মেতে ওঠে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালি। কিন্তু করোনা গ্রাস করেছে সব কিছুরই, সাধারণ মানুষকে সচেতন হয়েই উৎসব গুলি কোনরকমে পালন করে মানুষকে সচেতন করতে দেখা গেল শান্তিপুর। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জ থানা এলাকার বিভিন্ন গ্রামে পৌষ পার্বণ উৎসব আগেকার দিনের মতোই। পৌষ পার্বণ অর্থাৎ পিঠেপুলির একমাত্র অবলম্বন ছিল কাঠের ঢেঁকি। যেকোন গ্রামে গেলে দেখা যেত পৌষ পার্বণ আসার আগেই বাড়ির মহিলারা সকালবেলা আতপ চাল ভিজিয়ে রেখে সেই চাল শুকনো করে তা ঢেঁকিতে নিয়ে গিয়ে সুন্দর গুড়ো করে নিয়ে আসতেন। তা দিয়েই সুন্দর সুন্দর পিঠে পুলি তৈরি করতেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে মানুষের ভাবনার পরিবর্তন হয়েছে এখন আর কেউ ঢেঁকিতে নির্ভর করে না বল্লেই চলে,সবাই মেশিনের সাহায্যে গুড়ো করে নিয়ে আসে এবং তা দিয়েই পিঠে তৈরি করে। কিন্তু এখনো এমনও গ্রাম আছে যারা এই পৌষ পার্বণের সময় একমাত্র ভরসা করে সেই পুরনো দিনের ঢেঁকির উপর। নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের সীমান্ত লাগোয়া নালুপুর গ্রামে দেখা গেলো এক ভিন্ন দৃশ্য ।সেখানকার মহিলারা আজও ঢেঁকিতে চাল গুঁড়া করছেন। ঐ গ্রামের মহিলাদের বক্তব্য এই চালের গুড়োর পিঠে ভালো হয় ও সুস্বাদু হয় কিন্তু মেশিনের গুড়োর পিঠে ভালো হয়না। যুগ পরিবর্তন হয়েছে উপর দিয়ে আকাশে প্লেন উড়ছে মাটির তলা দিয়ে মেট্রো রেল, গঙ্গা নদীর বুকে মেট্রোরেল কিন্তু এখনো অনেক এলাকায় সেই পুরনো দিনের স্মৃতি আগলে পড়ে আছে। পুরানো দিনের ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার প্রয়াসকে আমরা সাবাস জানাই। অনেকে আবার বাড়ির সামনে রান্নাঘরের কাছে আলপনা আঁকাতে বাড়ির বৃদ্ধ থেকে কচিকাঁচারা। শীত পড়তেই বাঙালির মনে পিঠে পুলির আবেগ চলে আসে বাঙালির ঘরে ঘরে বিভিন্ন রকমের পিটে তৈরি করতে ব্যস্ত থাকে ছোট থেকে বড় সবাইরা পৌষ মাসের শেষ তারিখ বাঙালির প্রত্যেক ঘরে ঘরে পৌষ পার্বণ উৎসব মেতে ওঠে। আধুনিক পদ্ধতিতে মেশিনের দ্বারা চাল আটা দিয়ে পিঠে ভাপা,কলি পিঠে,পাটি সাপটা,ছড়া,সাজের বড়া পিঠে ,মাল পোয়া সহ বিভিন্ন ধরনের পিঠে তৈরি করে মহিলারা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct