আপনজন ডেস্ক: ৫৮ বছর বয়সী রাসলান সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় একটি কারাগারে বন্দি ৪ হাজারের বেশি মানুষকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ছিলেন। ঐ কারাগার ‘হেল অন আর্থ’ নামে পরিচিত।
জার্মানির কোবলেনৎসের আদালতে রাসলানের বিচার হয়েছে। সিরিয়ায় রাষ্ট্র-প্ররোচিত নির্যাতনের বিরুদ্ধে এমন রায় বিশ্বে এটিই প্রথম।
সিরিয়ার কুখ্যাত এই আল-খতিব কারাগারে বন্দী নারী ও পুরুষদের কী অসহ্য যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়েছিল তা কল্পনা করা কঠিন।
রাসলান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের একজন উচ্চ-পদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বে থাকাকালে ওই অপরাধ করেছেন।
২০১১ সালের ব্যাপক সরকার বিরোধী বিক্ষোভ থামাতেও রাসলান মানবতাবিরোধী কাজে জড়িত ছিলেন।
আসাদ সরকারের শাসনের বিরোধিতা করার সন্দেহে বিক্ষোভকারীসহ অন্যান্যদের দামেস্কের আল-খতিব কারাগারে আটকে রাখা হত। কৌঁসুলিরা বলন, রাসলান ওইসব অভিযান পরিচালনা করেছিলেন।
২০১২ সালে সিরিয়া ছেড়ে জার্মানিতে আশ্রয় নেন ৫৮ বছর বয়সি আনোয়ার রাসলান। এক জার্মান তদন্তকারী জানিয়েছেন, ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা, বিদ্যুতের শক, মাছ ধরার ছিপ, দড়ি, বড়শি দিয়ে ঘৃণ্য অত্যাচারের তদারকি করতেন রাসলান, এমন অভিযোগও রয়েছে।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশে থাকা ৮০র বেশি প্রত্যক্ষদর্শী এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে রাসলান তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বন্দিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার ব্যাপারে তার কিছু করার ছিল না এবং কিছু বন্দীকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছেন বলেও দাবি করেছেন রাসলান। রাসলান জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন করেছিলেন। তারপর ২০১৯ সালে জার্মানি থেকেই গ্রেপ্তার হন তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct