আপনজন ডেস্ক: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বড় ধরনের ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করছেন ফ্রান্সের শিক্ষকরা। এর ফলে বন্ধ হওয়ার পথে দেশটির প্রায় ৭৫ শতাংশ প্রাইমারি স্কুল। সম্প্রতি ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পরও ফরাসি মন্ত্রীরা স্কুল চালু রাখাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। শিক্ষকরা বলছেন, স্কুলে কোভিড নীতি সংশয়পূর্ণ ও বারবার বদলানো হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের বেশিরভাগ প্রাথমিক স্কুল বন্ধ ছিল। শিক্ষকদের ইউনিয়ন প্রত্যাশা করছে, ধর্মঘটে ৭৫ শতাংশ শিক্ষক অংশগ্রহণ করতে পারেন। এটি কয়েক দশকের মধ্যে বৃহত্তম ধর্মঘট হতে পারে। এতে অংশগহণ করছে শিক্ষক, অভিভাবক ও স্কুলকর্মীদের প্রতিনিধিত্বকারী ১১টি ইউনিয়ন। সরকারের কোভিডনীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাতে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
ইউনিয়নগুলোর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের হতাশা নজিরবিহীন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তারা বলছে, সরকার ও শিক্ষামন্ত্রী স্কুলগুলোর বিশৃঙ্খলাজনক পরিস্থিতির জন্য দায়ী। এই ধর্মঘটের প্রধান কারণ হলো ফ্রান্স সরকারের জারি করা কোভিড স্বাস্থ্যবিধি। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এই বিধি বেশ কয়েকবার পাল্টানো হয়।
২ জানুয়ারি জারি করা বিধি অনুসারে, নতুন স্কুলবর্ষ শুরু হওয়ার আগে কোভিড আক্রান্তের সংস্পর্শে বা কাছাকাছি আসা শিক্ষার্থীদের অ্যান্টিজেন বা পিসিআর টেস্ট করতে হবে এবং দুই দিন পর নিজে নিজে পরীক্ষা করা লাগবে। এর চারদিন পর সশরীরে ক্লাসে হাজির হওয়া যাবে। এই করোনা বিধির জন্য ফরাসি শিক্ষকরা ধর্মঘটে গেলেন।
আরও পড়ুন: