জৈদুল সেখ,কান্দি,আপনজন: গত কয়েক বছর ধরে নীরবে দুস্থ, অনাথ, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে থেকেছেন। সেই সমস্ত সমাজসেবামূলক কাজের জন্য “ডক্টর অফ ফিলোজফি” উপাধি পেলেন মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি থানার অন্তর্গত সাঁওতাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল রশিদের পুত্র মোস্তাক রশিদ ওরফে মোহনলাল রশিদ। বর্তমানে তিনি বহরমপুরের বাসিন্দা।
উল্লেখ্য, করোনার প্রকোপে সর্বত্র যখন লকডাউন শুরু হয়, সেই সময় তিনি নিঃস্বার্থ ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন অসহায় মানুষদের দিকে। দিনের পর দিন মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে রোগীর পরিজনদের কাছে পৌঁছে দেন খাদ্য। এছাড়াও প্রত্যেক সপ্তাহের শুক্রবার করে বহরমপুরে অসহায়দের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয় তারই নির্দেশে । শুধু তাই নয়, অসুস্থ দের কাছে খাদ্য সহ প্রয়োজনীয় ওষুধ থেকে শুরু করে পরিবেশ রক্ষার্থে বিভিন্ন ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে তাঁকে। এছাড়াও বিবাহযোগ্য মহিলার বিয়েতে অনুদান– দুস্থদের পড়াশুনা প্রভৃতি কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। এই বিশেষ উপাধি অর্জন করে শুধু বহরমপুরই নয়, তিনি গর্বিত করেছেন সমগ্র মুর্শিদাবাদ জেলাবাসীকে। দিল্লির থিওফ্যানি বিশ্ববিদ্যালয়-এর পক্ষ থেকে গত ৯ জানুয়ারি সাম্মানিক ডক্টর অফ ফিলজপি ডিগ্রি দেওয়া হয়। গ্রামে আসতেই বৃহস্পতিবার সাঁওতাপাড়া গ্রামের তৌহিদ এডুকেশন সোসাইটি এবং সাঁওতা পাড়া স্মৃতি সংঘ ক্লাবের পক্ষ থেকে ডক্টর মোহন লাল রসিদকে বিশেষভাবে সম্বর্ধনা জানানো হয়। প্রসঙ্গ এই মাদ্রাসায় গরীব দুস্থ,এতীম অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে পড়াশোনা করানো হয়। তাই পড়াশোনা এবং মাদ্রাসার উন্নতি প্রকল্পে এক লাখ টাকা সাহায্য দেবার প্রতিশ্রুতি দিলেন ডক্টর মোহন লাল রসিদ। এর ফলে অনেকটা উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন এই মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ। এদিন তিনি জানান– সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুর্শিদাবাদ জেলায় পিছিয়ে পড়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি সব সময় কাজ করেন। তার জন্য এমন স্বীকৃতি পাবেন কোনদিন ভাবেননি। সমাজের জন্য কতটা কাজ করতে পারি জানি না তবে এই উপাধি আগামী দিনে কাজ করার জন্য আরও উৎসাহিত করবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct