আপনজন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে দিল্লি থেকে নিউ টাউনে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করলেন। আর তাতে অংশ নিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহুদিন পর প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীকে এক অনুষ্ঠানে দেখা গেল। যদিও এদিনের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যও। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জন্য এখানে হাজির থাকা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। বাংলার উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী আগ্রহ দেখিয়েছেন, তার জন্য ধন্যবাদ।’ তবে, এই ক্যানসার হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানকে ঘিরে ফের একবার কেন্দ্র রাজ্য তরজার দেখা মিলল। বিশেষ করে উদ্বোধন নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালটি উদ্বোধন করলেও সেটি যে আগেই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে সূচনা হয়েছে তার কৃতিত্ব দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী হাসপাতালের ব্যয়ভারের একটি অংশ রাজ্য যে বহন করছে কিংবা জমি দান করেছে সে কথা তুলে ধরেন। এ নিয়ে মমতা বলেন, এই ক্যাম্পাসের উদ্বোধন আমরা আগেই করে দিয়েছি। কোভিডের শুরুতে স্বাস্থ্য পরিষবার জন্য এটির দরকার পড়েছিল। নিউটাউনের এই হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস দেখে এখানে সেফ হোম তৈরি করি। এই ক্যাম্পাস আমাদের খুব কাজে এসেছে। এছাড়া, হাসপাতালের ২৫ শতাংশ খরচ রাজ্য সরকার বহন করছে ও ১১ একর জমি দিয়েছে। হাসপাতালের রেকারিং খরচও রাজ্য দেবে বলে জানিয়ে জনগণের স্বার্থে রাজ্য ও কেন্দ্রকে একসাথে এগিয়ে চলার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারে বারে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনের ডোজ না দেওয়া কেন্দ্রে বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। এদিনও তিনি প্রধানমন্ত্রীর সামনে বলেন, করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজের ৪০ শতাংশ এখনও কেন্দ্র দেয়নি। এ প্রসঙ্গে তিনি রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো তথা স্বাস্থা সাথীর কৃতিত্বের কথা তুলে ধরেন। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, বাংলাকে ১১ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। দেড় হাজার ভেন্টিলেটর দেওয়া হয়েছে। ৯ হাজারের বেশি অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে। ৪৯টি নতুন অক্সিজেন প্ল্যান্ট কাজ করছে। ৭ বছরে মেডিক্যালের আসন বেড়েছে ৬০ হাজার। বাংলায় মেডিক্যাল হাসপাতালে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির কথাও তুলে ধরেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct