আপনজন ডেস্ক : প্যাকেট দিয়ে মোড়া ঝুড়ি। আর তাতে ইংরেজিতে লেখা‘গেট ওয়েল সুন’, অথবা বাংলায় দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। তার নীচে লেখা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোড়কজাত ঝুড়ির প্যাকেটে রয়েছে নানা রকমের ফল। ফলের তালিকায় রয়েছে আপেল, কুল, কিউই, কমলালেবু, মোসাম্বি, খেজুর, বেদানাও। কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের মনোবল চাঙ্গা করতেবাংলারমুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত সেরে ওঠার বার্তাসহ ফল পাঠাচ্ছেন সরাসরি। সরকারের এই উদ্যোগে যথেষ্ট খুশি প্রাপকরা।
বড় বাজারের মেছুয়া ফলপট্টিতে এই কাজের দায়িত্বে রয়েছেন তারিখ ইশার নামে এক ব্যক্তি। তিনি জানিয়েছেন, নানা ধরনের ফল দিয়ে সাজানো থাকছে ঝুড়ি। মোড়কজাত এই ফলের ঝুড়ি তারপর পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে কলকাতা কর্পোরেশনে। সেখান থেকে ঝুড়িভর্তি ফল পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে করোনা রোগীদের কাছে।
জানা গেছে, এই কাজের দায়িত্ব রয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আপাতত জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এই সেবা। পরে পরিস্থিতি বুঝে মেয়াদ বাড়ানো হবে। এটা দিদির উদ্যোগ। এই মুহূর্তে করোনা রোগীদের ভিটামিন সি দরকার। সেভাবে ফলের ঝুড়ি সাজানো হচ্ছে। এমনভাবে মোড়কজাত করা হচ্ছে যাতে ফলগুলো সহজে নষ্ট না হয়। কোভিড রোগীরা তিন-চারদিন এসব ফল খেতে পারবেন।
উল্লেখ্য, এর আগে করোনা আক্রান্ত গরিব মানুষরা যাতে কোনও অসুবিধায় না পড়েন সে জন্য রাজ্য সরকার এক মানবিক উদ্যোগ নিয়েছে। গরিব মানুষরা করোনা আক্রান্ত হলে তাঁরা যাতে অভুক্ত না থাকেন তার জন্য তাঁদের বাড়িতে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। এ ব্যাপারে প্রশাসনিক তরফে বলা হয়েছে, রাজ্য জুড়ে করোনা আক্রান্ত গরিবদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে গিয়ে খাবার প্যাকেট তুলে দেবে পুলিশ। মুড়ি, চাল, ডাল ও বিস্কুট দিয়ে তৈরি হবে প্রত্যেকটি খাবারের প্যাকেট। আপদকালীন ভিত্তিতে রাজ্যের সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের ব্যবস্থা গ্রহণের বার্তা দেওয়া হয়েছে নবান্নের পক্ষ থেকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct