এহসানুল হক,বসিরহাট,আপনজন: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ছোট্ট শহর টাকি গড়ে উঠেছে ইছামতী নদীর তীরে। নদীর ঠিক ওপারেই বাংলাদেশ। বছরের যে-কোনও সময়েই, বিশেষ করে ডিসেম্বর ,জানুয়ারি মাসে বেশি বেড়াতে টাকিতে আসেন পর্যটকেরা। শীতের মরসুমে এই পর্যটনকেন্দ্রের হোটেল এবং গেস্ট হাউসগুলিতে জায়গা পাওয়াই দুষ্কর। কিন্তু আবার আংশিক লকডাউনে টাকিতে পর্যটক নেই বললেই চলে! গেস্ট হাউস, হোটেল ফাঁকা। যার ফলে বিভিন্ন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে হোটেল ব্যবসায়ীরা মার খাচ্ছে। এদিন গোলপাতা জঙ্গল থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখা গেল জনশূন্য পর্যটক। আংশিক লকডাউনে পর্যটন না হয় ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি ব্যবসায়ীরা অসহায় অবস্থার মধ্যে দিন গুনছেন। বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটক না আসায় ফাঁকা হয়ে আছে টাকির পর্যটন স্থান। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখোমুখি টাকির পর্যটন শিল্পসহ স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় কয়েক মাস ধরে বন্ধ থাকার পরে স্বাভাবিক হতে পর্যটন কেন্দ্র গুলি একটু স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে ছিল কিন্তু আবার আংশিক লকডাউন হওয়ায় মাথায় হাত এখানকার ব্যবসায়ীদের ।
এদিন টাকির হোটেল মালিক ফারুক গাজী বলেন, করোনাকালীন সময়ে প্রথম থেকে এ পর্যন্ত হোটেল ও রেস্টুরেন্ট মালিক-কর্মচারীরা মানবেতর জীবন-যাপন করছে। মালিকদের লোকসান গুনতে হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। এক কথায় কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসে জীবন জীবিকা থমকে দিয়েছে। ইলেকট্রিক বিল গুলো হোটেল মালিকরা দিতে পারছে না কারণ হোটেল মালিকরা এখন খুব খারাপ অবস্থায় আছে।
শ্রমিকদের মতে, ভবিষ্যতে শ্রমিকদের ভাগ্যে কি হবে বলা যাচ্ছেনা। আমরা এখন অসহায় অবস্থায় আছি, করোনার কারণে এখনো আংশিক লকডাউন চলছে। ভবিষ্যতে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে আমরা কিভাবে দিন কাটাব জানিনা। ট্যুরিস্ট গাড়িগুলো বন্ধ থাকায় শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে। সরকারের কাছে আমাদের বিনীত নিবেদন আমাদের কথা যেন তারা ভাবেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct