মঞ্জুর মোল্লা,নদিয়া,আপনজন: নদীয়া শিমুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র স্কুল ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় কর্মস্থলের যুক্ত হচ্ছে। আংশিক লকডাউনের প্রভাবে স্কুল ছেড়ে জীবিকার পথে যাচ্ছে এইসব ছাত্ররা। এরা পড়াশোনায় ভালো। অভাবের তাড়নায় দোকানে কাজে লেগে যাচ্ছে। তাদের বক্ত্যব স্কুলে পরীক্ষা দিলেও পাস, না দিলেও পাস। তাই লকডাউনের স্কুল ছেড়ে সাইকেল গ্যারেজ কাজ করছে ছাত্ররা।
এমনিতেই দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ ছিল করোনা সংক্রমণের কারণে। তাই স্কুল খুলতে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্রদের খোঁজখবর করছেন এবং স্কুলে আসার জন্য তাদের সাথে কথা বলছেন। অনেক জায়গাতেই অনেক ছাত্রের পড়াশোনা ছেড়ে কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। অনেক ছাত্র শিক্ষকদের কথা শুনে স্কুলমুখী হচ্ছে। এখন সেই ছাত্ররা শিক্ষকদের জিজ্ঞাসা করছে ফের স্কুল বন্ধ হল লকডাউন হলো তাহলে আমরা এখন কী করব। দীর্ঘদিন লকডাউন এর ফলে পরিবারের অভাব তাড়নায় স্কুল পড়ুয়ারা বিভিন্ন দোকানে কাজ করছে। নদীয়া শিমুললিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের কেউবা বাইরে কাজে চলে গিয়েছিল। জোর করে পরিবারকে বুঝিয়ে একটা বড় অংশ কাজ ছেড়ে আবার স্কুলে এসেছিল। সবাই ভেবেছিল স্কুল খুলেছে আবার ক্লাস ফাইভ থেকে স্কুল চালু হবে। চালু হওয়ার কথা তো দূরে থাক আবার লকডাউন ছাত্ররা কোন শিক্ষকের কাছে আবেদন করছে মাস্টারমশাই আপনারা আমাদের কে বাইরে থেকে নিয়ে আসলেন অনেক টাকা খরচা করে আমরা বাড়ীতে আসলাম পড়াশোনা করার জন্য আবার লকডাউন আমরা কাজটাও হারালাম টাকা পয়সাও নষ্ট করলাম। স্কুল ছাত্র এখন সাইকেল মেরামত করার কাজে যুক্ত হয়েছে। এই দোকানে গত লকডাউনে কাজ করে পরিবার চালিয়েছে।মাঝে স্কুলে শিক্ষরা বাড়িতে গিয়েছিল স্কুলে ভর্তি হওয়ার কথা বলছি কথা মতো সাইকেল দোকানে কাজ ছেড়ে স্কুলে গিয়েছিলাম ফের লকডাউন। শিমুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক স্টেট পরীক্ষায় ৩৮৮ জন বসার কথা সেখানে মাত্র ২৩৮ বসেছে
১৫০ জন নেই তাদের এখনো আমার ফেরাতে পারনি এখনো কে কোথায় আছে খোঁজ নিতে পারনি এই পরিসংখ্যানটা প্রত্যেকটা ক্লাস অনুযায়ী করলে কত জন ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে আসছে না বুঝে পারছি না।এ’ছেলে মেয়ে হাড়িয়ে গেল যারা টেস্টে ফেল করবে তারাও হারিয়ে যাবে এই মত অবস্থায় আমরা কি করবো একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি সবাইকে টেস্ট এলাও পুড়িয়ে দেয়ার। শিমুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া তুহিন মণ্ডল জানায় পরিবারের অভাব ছিল মাস্টারমশাইরা বুঝিয়েছিল কাজ ছেড়ে দিয়ে আবার স্কুলে গিয়েছিলাম আবার লকডাউন বাড়ি থেকে বলছে না পরে না পড়ে পাশ হয়ে যাবি এমনি প্রত্যেক বছর পাশ করতি কাজ করলে পরিবারের কিছু টা অভাব দূর হবে।আংশিক লকডাউন এর প্রভাবে স্কুল ছেড়ে জীবিকার পথেপড়ুয়া।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct