আপনজন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বুধবার পাঞ্জাবের ফিরোজপুরে ৪২,০০০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের শিলান্যাস করার কথা ছিল। প্রধানমন্ত্রী যে রাস্তায় বাথিন্ডা থেকে ফিরোজপুর যাচ্ছিলেন সেই রাস্তাটি কৃষকরা অবরোধ করেন। ফিরোজপুরের কাছে হুসেইনিওয়ালা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে একটি ফ্লাইওভারে তার কনভয় ১৫-২০ মিনিট আটকে যায় বাধ্য হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে ফিরে যেতে হয়। বিমানবন্দরে পৌছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মোদি বলেন, ‘বেঁচে ফিরতে পেরেছি, এই অনেক! এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে (পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী) আমার হয়ে ধন্যবাদ জানাবেন।’
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই ঘটনাকে ‘বড় নিরাপত্তা ত্রুটি’ হিসাবে বর্ণনা করেছে ও পাঞ্জাব সরকারের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়েছে। সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাথিন্ডার ভাইসিয়ানা বিমান বাহিনী স্টেশনে অবতরণ করেছিলেন। হেলিকপ্টারে ফিরোজপুরের কাছে হুসেইনিওয়ালায় জাতীয় শহীদ স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করার কথা ছিল। কিন্তু বৃষ্টি এবং দৃশ্যমানতা কম থাকায় তার হেলিকপ্টার টি ওড়াতে পারেনি। আবহাওয়া পরিষ্কার হওয়ার জন্য মোদী বিমানবন্দরে প্রায় ২০ মিনিট অপেক্ষা করেছিলেন। আবহাওয়ার উন্নতি না হওয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে তিনি সড়কপথে ভ্রমণ করবেন। প্রথমে স্মৃতিসৌধে যাবেন ও তারপরে প্রকল্পগুলির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর পরে একটি সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফিরোজপুরের কাছে হুসেইনিওয়ালায় কৃষকরা অবরোধ করলে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় একটি ফ্লাইওভারে আটকে যায়। থমকে থাকে প্রায় ১৫-২০ মিনিট। বাধ্য হয়ে বাথিন্ডার উদ্দেশ্যে ফের ফিরে যান।
এ বিষয় এক প্রবীণ অফিসার বলেন, পাঞ্জাব পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী মোদী বাথিন্ডা থেকে সড়কপথে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় এটি একটি বড় ত্রুটি ছিল। তাঁর সময়সূচী এবং ভ্রমণ পরিকল্পনা পাঞ্জাব সরকারকে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল। রাজ্য সরকারের প্রয়োজনীয় লজিস্টিক এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার কথা ছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক পাঞ্জাব সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।
উল্লেখ্য, কৃষক আন্দোলনের পর প্রধানমন্ত্রী মোদির এটিই ছিল প্রথম পাঞ্জাব সফর। তবে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডার অভিযোগ, ওই ঘটনার সময় মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নিকে ফোন করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন তোলেননি। কয়েক হাজার কোটি টাকার উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে পাঞ্জাবে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তাঁকে যেভাবে ফিরে আসতে হল, তা দুঃখজনক। এ রকম সংকীর্ণ মানসিকতার জন্য পাঞ্জাবের উন্নয়ন আটকে থাকবে না।
যদিও মুখ্যমন্ত্রী চান্নি বলেন, আমি দুঃখ প্রকাশ করছি যে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে আজ ফিরোজপুর জেলা সফরের সময় ফিরে আসতে হয়েছিল। আমরা আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করি। চান্নি আরও জানান, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে যেতে পারেননি। কারণ তাঁর সঙ্গীর দেহে কোভিড ধরা পড়ে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct