রহমতুল্লাহ, সাগরদিঘী, আপনজন: মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘীর কাবিলপুর তেজরায়পুর ফেরিঘাটে শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ হঠাৎ এক ছোট্ট মেয়ের লাশ ভাসতে দেখা গেলে এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উল্লেখ্য সাগরদিঘীর ভূপেন্দ্র নগর এর বাসিন্দা ওবাইদুর রহমান এবং কাবিলপুর এর বাসিন্দা রেবিনা খাতুন তাঁরা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ঝামেলা হয়। ৩০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিন ঠিক একিভাবে ঘরে তালা বন্ধ করে ওবায়দুর রহমান তার স্ত্রী রেবিনাকে বেধড়ক মারধর করেন এবং রাত্রিবেলায় বাড়ি থেকে বের করে দেন। ঘটনাস্থলে রেবিনা খাতুন তার বাড়ি ছেড়ে পাশের পরিচিত বাড়িতে আশ্রয় নেয় এবং সেখান থেকেও সকালবেলায় মারধর করে গুরুতর ভাবে নদীতে ফেলে দেয় স্ত্রী সহ দুই ছেলে এবং এক মেয়েকে। শুক্রবার সকালে মেয়েটির লাশ ভাসতে দেখা যায় কাবিলপুর তেজ রায়পুর ফেরি ঘাটের সামনে। ঘটনা স্থলে সাগরদিঘী থানার পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত পাঠায়। পরিবারের দাবি মূলত রেবিনাকে টাকার জন্য মারধর করা হয় এবং খুব পরিকল্পিতভাবে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে রেবিনার মা এবং রেবিনার মামা মনিরুল ইসলাম বলেন ওবায়দুর রহমান ও তার মা বাবার ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। তবে, এই ঘটনায় এলাকায বাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে যেভাবে পুত্র কন্যা সহ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে একজন বধূকে তা চরম অমানবিকতা বলে মনে করছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct