রাজু আনসারী,অরঙ্গাবাদ,আপনজন: মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি-২ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি থেকে অপসারণ করা হলো মাসাদুল হক (পিকু)কে। বৃহস্পতিবার সুতি-২ পঞ্চায়েত সমিতির রুমে অনাস্থা প্রক্রিয়ায় অপসারণ করা হয় তাকে। এদিন ২৯ সদস্যের মধ্যে ২৮ সদস্যই অনাস্থার পক্ষে ভোট দেন। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই অপসারিত হন মাসাদুল হক। জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন আগেই সুতি-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মাসাদুল হক পিকুর বিরুদ্ধে জঙ্গিপুর মহুকুমা শাসকের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা করেন তৃণমূলের ২৮ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য।
ঠিক তারপরেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার অনাস্থার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সেখানেই ২৮-০ ভোটে অপসারিত করা হয় মাসাদুল হক পিকু’কে। অনাস্থা উপলক্ষে পুলিশের কড়া তৎপরতা লক্ষ করা যায়।
উল্লেখ করা যেতে পারে, বিধানসভা নির্বাচনের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন সুতি-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মাসাদুল হক পিকু। দল থেকে বহিষ্বারেরও ঘোষণা করা হয় তাকে। বিধানসভা নির্বাচন শেষ হতেই মাসাদুল হকের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসে তৃণমূলের সদস্যরা। অবশেষে বৃহস্পতিবার অনাস্থা প্রক্রিয়ায় অপসারণ করা হলো মাসাদুল হক পিকু’কে। এদিন অনাস্থা প্রক্রিয়ায় অনুপস্থিত ছিলেন সদ্য অপসারিত পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মাসাদুল হক।
অনাস্থা প্রক্রিয়া শেষে সুতি-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি লতিফুর রহমান জানান, যারা দল বিরোধী কাজ করবে তাদের বরদাস্ত করা হবে না। পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি থাকার পরেও প্রকাশ্যে তৃণমূলের প্রার্থীর বিরোধিতা করেছেন মাসাদুল হক (পিকু)। বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। আর যার জন্যই তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। অন্যদিকে অনাস্থাকে কার্যত কটাক্ষ করে পাল্টা অপসারিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মাসাদুল হক পিকু জানান, দলীয় নির্দেশ অমান্য করেই তো অবাধে অনাস্থা চলছে। আমারটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কেন এখানে এত অনাস্থার খেলা চলছে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আহবান জানাচ্ছি রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বকে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct