বাবলু প্রামাণিক,গঙ্গাসাগর,আপনজন: রাজ্যে ক্রমে ক্রমে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসছে। দেশজুড়ে যেভাবে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে তাতে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে মু্ম্বাইয়ে ওমিক্রন সতর্কতায় ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে নিধেঘাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দিল্লিতে জারি হয়েছে নাইট কার্ফু। তাই পশ্চিমবাংলা এ নিয়ে খুবই সতর্কভাবে এগিয়ে চলতে চায়। সংক্রমণের প্রভাব যাতে না বাড়ে তার জন্য পুনরায় স্কুল কলেজ বন্ধ রাখা যায় কিনা তা নিয়ে ভাবছে রাজ্য। বুধবার গঙ্গাসাগরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করোনা তথা ওমিক্রন সংক্রমণ বৃদ্ধির ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের মধ্যেই স্কুল কলেজ ফের বন্ধ করার ভাবনা ফুটে উঠেছে। হচ্ছে? ওমিক্রনের নিয়ে রাজ্যের কী পরিস্থিতি দেকতে মুখ্যমন্ত্রী জরুরি ভিত্তিতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা সচিব মণীশ জৈনকে আতঙ্কের মধ্যে মুখ খুললেন মমতা। মূলত, রাজ্যে আবারও স্কুল ও কলেজ বন্ধ করার কথা বাবা যায় কিনা তা িনয়ে পর্যালোচনা করে দেখার জন্যিই এই নির্দেশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে মমতা জানান, দেশে আবারও মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা ভাইরাস। ওমিক্রনও হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে স্কুল এবং কলেজ খোলা রাখা হবে কিনা, তা পর্যালোচনা করে দেখার জন্য শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, স্কুল-কলেজ খুলে রাখা হবে কিনা, তা নিয়ে রিভিউ কর। মাধ্যমিক পরীক্ষাও আছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও আছে। সুতরাং একটু দেখে নাও। যাতে করোনার বিধি বজায় রাখা হয়। যদিও মুখ্যমন্ত্রী অভয় দেন, করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন নিয়ে ভয় পাওয়ার তেমন কোনও কারণ নেই। কিন্তু সংক্রমণের মাত্রা বেশি। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে। সংক্রমণ রোখার দায়িত্ব সবাইকে নিতে হবে। মেনে চলতে হবে করোনা বিধি। তাই বাইরে বেরোলেই স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। বাধ্যতামূলকভাবে পরতে হবে মাস্ক। তাই মমতার পরামর্শ, ‘কোভিড পরিস্থিতির দিকে নজর রাখ। যদি দেখ যে স্কুলে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে, তাহলে আবার আমরা কিছুদিনের জন্য ছুটি করে দেব। যেহেতু থার্ড ওয়েভটা (করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ) আসছে।’ তিনি জানান, সার্বিকভাবে বাংলার করোনা পরিস্থিতি এবং ওমিক্রনের পরিস্থিতির ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শুধু স্কুল কলেজ বন্ধ নয় ওমিক্রন ফেকাতে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা কমানোর ব্যাপারেও মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব দেন। এদিনেরপ্রশাসনিক বৈঠকে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা কমানোরও নির্দেশ দেন মমতা। মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘লোকাল ট্রেনের উপরও প্রভাব পড়বে। এখনই সব বন্ধ করতে যেও না। কিন্তু কিছুটা কমিয়ে দাও। জনগণের যাতে অসুবিধা না হয়, (সেটা মাথায় রাখতে হবে)। কারণ যাঁরা কলকাতায় যাবেন, তাঁদের রুজি-রোজগার দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ। একটু দেখে নাও, কাদের হচ্ছে বেশি।’ তারপরেই যোগ করেন, ‘ট্রেনটা এক্ষুণি কমাবে না, গঙ্গাসাগর মেলা আছে।’
অন্যদিকে, রাজ্যের ভূমি দফতরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ েকরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভূমি দফতর ঘুঘুর বাসা। এটা ভাঙতে হবে।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct